ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজটিতে থাকা ৩২ জনের সবাই এখন মৃত। তাদের মধ্যে ৩০ জন ইরানি এবং ২ জন বাংলাদেশি।
গত ৬ জানুয়ারি রাতে পানামার পতাকাবাহী সানচি জাহাজটি ইরান থেকে তেল বহন করে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু পূর্ব চীন সাগরের সাংহাই উপকূল থেকে ২৬৯ কিলোমিটার দূরে হং কংয়ের সিএফ ক্রিসটাল জাহাজের সঙ্গে সানচির সংঘর্ষ হয়ে এতে আগুন ধরে যায়।
ট্যাংকারটিতে এক লাখ ৩৬ হাজার টন তেল ছিল। ১ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জ্বলতে থাকার পর এটি ডুবে গেল। চীনের সেন্ট্রাল টিভি’র খবরে বলা হয়েছে, সানচিতে দুপুরের দিকে ‘হঠাৎ করেই আগুনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে’ এক পর্যায়ে সেটি ডুবে যায়।
এটি ডুবে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চালানো উদ্ধার অভিযানে তিনটি লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তার মধ্যে শনিবার উদ্ধারকর্মীরা সনাচির ডেক- এ একটি লাইফবোট থেকে দুইটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এর আগে জ্বলন্ত জাহাজের কাছে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় এক নাবিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু এখন এটি ডুবে যাওয়ার ফলে নিখোঁজ ২৯ নাবিকের বেঁচে থাকার আর আশা নেই বলে জানিয়েছেন ইরানি কমান্ডো ইউনিটের মুখপাত্র।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি এবং জাপানের দুটিসহ মোট ১৩টি জাহাজ এবং ইরানের একটি কমান্ডো ইউনিট উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা ট্যাংকারটির ব্ল্যক বক্স উদ্ধার করলেও বিষাক্ত ধোঁয়া আর আগুনের তীব্র অাঁচের কারণে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।
জ্বলন্ত জাহাজটিতে তাপমাত্রা ছিল ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৯২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হওয়ায় দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।