গুপ্তচরবৃত্তিসহ ২০টি অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৩ সালে ম্যানিংয়ের ৩৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল, পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার সাজা কমান।
বিবিসি জানায়, ৩০ বছর বয়সী ম্যানিং এবার মেরিল্যান্ডের আসনে ডেমোক্রেট পার্টির মনোনয়ন পেতে ৭৪ বছর বয়সী সিনেটর বেন কার্ডিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন।
২০০৭ সাল থেকে ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজ্যটির প্রতিনিধিত্ব করছেন কার্ডিন।
গত বছর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে মেরিল্যান্ডে বাস করে আসছেন ম্যানিং।
সামরিক আদালতের দণ্ড পাওয়ার একদিনের মাথায় ব্রাডলি ম্যানিং নিজেকে নারী বলে দাবি করেন এবং বাকি জীবন চেলসি ম্যানিং নাম নিয়ে কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
কারাগারে হরমোন চিকিৎসা পাওয়ারও দাবি তুলেছিলেন ম্যানিং। পুরুষদের জন্য নির্ধারিত একটি সামরিক কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও খবর আসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
সাত লাখেরও বেশি গোপন নথি, ভিডিও ও কূটনৈতিক তারবার্তা উইকিলিকসকে সরবরাহ করার অভিযোগে ২০১০ সালে ইরাক থেকে ম্যানিংকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ম্যানিংয়ের ফাঁস করা তথ্যে অনেকের জীবন বিপন্ন হয়েছে। যদিও সাবেক এ গোয়েন্দা বিশ্লেষকের ভাষ্য,মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে বিতর্ক উসকে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি তথ্যগুলো প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ওসব অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তুমুল বিতর্ক চলে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা ম্যানিংয়ের সাজাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ম্যানিংকে ‘অকৃতজ্ঞ বিশেষজ্ঞ’ অ্যাখ্যা দেন যার ‘কখনোই কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া উচিত ছিল না’।
মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় ম্যানিং সরকারি স্বচ্ছতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার নিয়ে সরব।