হ্যারড থেকে সরছে ডায়ানা-দোদির মূর্তি

পশ্চিম লন্ডনের বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর হ্যারড থেকে প্রিন্সেস ডায়ানা ও তার বন্ধু দোদি আল ফায়েদের যুগলমূর্তি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2018, 03:41 PM
Updated : 13 Jan 2018, 03:41 PM

দোকান থেকে সরিয়ে হ্যারডের আগের মালিক ও দোদির বাবা মোহাম্মদ আল ফায়েদের বাড়িতে ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি নিয়ে যাওয়া হবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।  

কেনসিংটন প্রাসাদে ডায়ানার স্মরণে নতুন একটি ভাস্কর্য নির্মাণের ঘোষণার বছরখানেক পর পশ্চিম লন্ডন থেকে যুগলমূর্তিটি সরানোর ঘোষণা এলো। হ্যারড বলছে, মূর্তিটি স্থানান্তরে এটিই সঠিক সময়। 

১৯৯৭ সালের ৩১ অগাস্ট প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়ানা ও তার বন্ধু দোদি মারা যান। গুরুতর আহত হন তাদের গাড়িচালক।

দোদির বাবা মোহাম্মদ বরাবরই এ ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা নয়’ বলে অভিহিত করলেও আনুষ্ঠানিক তদন্তে তার অভিযোগ সঠিক নয় বলে প্রমাণিত হয়।

২০০০ সালে মিশরি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ফায়েদ ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে হ্যারডের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রত্যাহার করেন। পাঁচ বছর পর দোকানের ভেতর তিনি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাবেক বধু ডায়ানা ও তার ছেলে দোদির মূর্তি উন্মোচন করেন। ২০১০ সালে কাতারের রাজপরিবারের কাছে জমকালো এ দোকানটি দেড়শ কোটি পাউন্ডে বেচে দেন তিনি।

মালিকানা বদলালেও এতদিন দোকান থেকে ডায়ানা-দোদির মূর্তিটি সরানো হয়নি।

“আল ফায়েদের কাছে মূর্তিটি ফিরিয়ে দেওয়ার এটাই সঠিক সময় বলে মনে করছি আমরা। এর বদলে কেনসিংটন প্রাসাদে জনগণকে সম্মান জানাতে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা,” বলেন হ্যারডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ওয়ার্ড।

দুই দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ডায়ানা-দোদির মূর্তি দেখতে দোকানে আসা ব্যক্তিদের স্বাগত জানানো ছিল বিরাট সম্মানের, বলেন তিনি। 

মূর্তি সরিয়ে নেয়ার ঘোষণার পর আল ফায়েদ পরিবার যুগলমূর্তিটি এতদিন ধরে সম্মানের সঙ্গে ‘সংরক্ষণ’ করায় কাতারের মালিকপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়।

“লাখ লাখ মানুষকে অসাধারণ এই দুই ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দিয়েছিল এ মূর্তি। এখন সময় হয়েছে এটিকে ঘরে নিয়ে আসার,” বলা হয় বিবৃতিতে।

যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্রোঞ্জের এই মূর্তিটিই ছিল অবলম্বন। গত বছর ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স হ্যারি কেনসিংটন প্রাসাদের মাঠে তার মায়ের স্মরণে একটি মূর্তি বানানোর ঘোষণা দেন।