ঠিক এক সপ্তাহে আগে এই দুর্ঘটনার পর ইতোপূর্বে এক নাবিকের লাশ সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
এনিয়ে তিনজনের লাশ মিললেও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
ট্যাংকারটিতে মোট ৩২ জন নাবিক ছিলেন; তাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি, বাকিরা ইরানি।
‘সানচি’ নামের জাহাজটি ১ লাখ ৩৬ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে ইরান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল।
গত ৬ জানুয়ারি পূর্ব চীন সাগরের সাংহাই উপকূল থেকে ২৬৯ কিলোমিটার দূরে হংকংয়ের মালবাহী জাহাজ সিএফ ক্রিসটালের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ট্যাংকারটিতে আগুন ধরে যায়।
এরপর থেকে সাগরে জ্বলছে ট্যাংকারটি; তারমধ্যেই চলছে উদ্ধার অভিযান।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া জানায়, শনিবার সানচির ডেক থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করতে পেরেছেন উদ্ধারকর্মীরা। আগুনের আঁচে দুটি লাশ উদ্ধার করেই তাদের সরে আসতে হয়।
রয়টার্স জানায়, জ্বলন্ত জাহাজটিতে তাপমাত্রা এখন ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৯২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। চারজন উদ্ধারকর্মী সানচির ডেকে নামতে পারলেও আধা ঘণ্টার বেশি টিকতে পারেননি।
জাহাজটি উদ্ধারের পর মরদেহে সাংহাইয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উদ্ধারকারীরা জাহাজটির ডেটা রেকর্ডার বা ব্ল্যাক বক্স আনতে পেরেছেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির খবরে বলা হয়।
কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের তা এখন জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি এবং জাপানের দুটিসহ মোট ১২টি জাহাজ উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তবে আগুন ও ধোঁয়ার সঙ্গে তাদের লড়তে হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের ধারণা, জাহাজটি এক মাস ধরে জ্বলতে পারে এবং পরে বিস্ফোরিত হয়ে ডুবে যাবে।