ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমার তো মনে হয় কিম জং উনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। লোকজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। মনে হচ্ছে, এটা শুনে আপনারা বিস্মিত।”
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ট্রাম্প ও কিম উভয়ই পরষ্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বাক্যবাণ ছুড়েছেন। দুজন দুজনকে পাগলও বলেছেন।
কয়েক মাস আগেও ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার উপর ‘আগুনের বৃষ্টি ঝরানোর’ হুমকি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, কিম যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম পরমাণু অস্ত্র তৈরিকে তার দেশ অনেকটা অগ্রসর হয়েছে বলে সতর্ক করেছেন।
কিমের সঙ্গে কখনও সরাসরি কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কথা বলা বা না বলা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি আসলে কিছু বলতেই চাই না।”
এর আগেও একবার কিমের সঙ্গে তার ‘বন্ধুত্ব হওয়ার সম্ভাবনা’ নিয়ে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
গত বছর নভেম্বরে ভিয়েতনাম সফরের সময় তিনি বলেছিলেন, কিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হলে ‘সম্ভবত সেটা খুবই অদ্ভুত হবে, কিন্তু সেই সম্ভাবনাও আছে’।
নিজের আক্রমণাত্মক টুইট সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “আমার সঙ্গেও অনেকবার এমনটা হতে আপনারা দেখবেন। এবং তারপর হঠাৎ করেই তাদের কেউ আমার সেরা বন্ধু হয়ে যাবে। আমি আপনাকে এরকম ২০টি উদাহরণ দিতে পারি, আপনি দিতে পারবেন ৩০টা। আমি খুবই নমনীয় একজন মানুষ।”
ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীলকালীন অলিম্পিক শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, “এটা উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি ভালো বার্তা।”
শীতকালীন অলিম্পিক নিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্যে নতুন করে আবার যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
কিম তার দেশ থেকে অলিম্পিকে একটি দল পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করার পর দক্ষিণ কোরিয়া তাদের আলোচনার প্রস্তাব দেয়।
ওই প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়া সাড়া দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার দুই প্রতিবেশী দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের একটি বৈঠক হয়।
বৈঠকে পিয়ংইয়ং থেকে একটি দল অলিম্পিকে যাওয়ার বিষয়ে একমত হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনায় বসতে রাজি হন দুই দেশের কর্মকর্তারা।
দুই কোরিয়ার মধ্যে টেলিফোনে যোগাযোগের জন্য একটি হট লাইনও এরই মধ্যে চালু হয়েছে।