সামা টিভির সংবাদ উপস্থাপিকা কিরণ নাজ খবরের শুরুতেই বলেন, “আজ আমি শুধু আপনাদের সংবাদ পাঠিকা নই, এখানে আজ আমি একজন মা হিসেবে উপস্থিত হয়েছি। সেকারণেই কোলে রয়েছে আমার ছোট্ট মেয়ে। একথা সত্য যে, অতি ছোট্ট ওই কফিনটি আজ সবচেয়ে ভারী। গোটা পাকিস্তান এ কফিনের ভারে ভারাক্রান্ত।”
“পাকিস্তানের এক দানব শিশুটিকে খুন করেছে। এটি শুধু একটি শিশুর খুন নয়, গোটা সমাজের খুন।”
গত সপ্তাহে সাত বছরের ছোট্ট জয়নাবকে পাকিস্তানের কাসুর থেকে অপহরণ করে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুষ্কৃতকারীরা।
জয়নব যখন অপহৃত হয় তখন তারা বাবা-মা ওমরা পালন করতে সৌদি আরবে ছিলেন।
‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানায়, গত ৪ জানুয়ারি মক্তবে কোরআন পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় জয়নব। ৯ জানুয়ারি বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ময়লার একটি ভাগাড় থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
জয়নবের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার এক পর্যায়ে কাসুর পুলিশ সদরদপ্তরে হামলা চালালে পুলিশের গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
গত দুই বছরে শহরটিতে ১২টি শিশু একই ধরণের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে জানায় বিবিসি। স্থানীয়দের অভিযোগ, শিশু অপহরণ, যৌন নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড থামাতে পুলিশ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অন্যদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত অন্তত ৫টি শিশু হত্যায় এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছেন তারা, যাকে ধরতে শতাধিক কর্মকর্তা নিরলসভাবে কাজ করছেন। অপরাধীকে ধরতে ৯০ জন সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।