পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট পর্নহাব ভিজিট করেছে ২,৮৫০ কোটিরও বেশি মানুষ। নারীদের পর্ন দেখাও গতবছর লক্ষ্যণীয় হারে বেড়েছে।
পর্নহাব তাদের বার্ষিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ব্যাপক চাহিদার কারণে ২০১৭ সালে মোট ৪০ লাখ পর্ন ভিডিও সাইটে আপলোডও হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্নহাব।
ওয়েবসাইটটির পর্যবেক্ষণে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে তা হল, নারীদের পর্নোগ্রাফি দেখার হার বেড়ে যাওয়া।
‘এক্সহ্যামস্টার’ নামক আরেক পর্নসাইটের পরিসংখ্যানেও দেখা গেছে, নারীরা বেশি মাত্রায় পর্ন দেখেছে।
গতবছর জুড়ে ‘পর্ন ফর উইমেন’ কিওয়ার্ডে পর্ন খোঁজা হয়েছে ব্যাপকহারে। বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সৌদি আরবের নারীরাই পর্ন বেশি দেখেছে।
পর্নহাবে ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে রিক এন্ড মর্টি এবং ফিজেট স্পিনার পর্ন। মে মাসে ১০ দিনে ২৫ লাখের বেশি ভিউয়ার এ পর্নগুলো সার্চ করেছে। আর ‘পর্ন ফর উইমেন’ ভিডিও খোঁজার হার গতবছর ১৪শ’ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
পর্নসাইট ‘এক্সহ্যামস্টার’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে এ সাইট দেখার হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
আর প্রতিটি দেশের আলাদা হিসাব মতে, সাইটটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার নারীদের পর্ন দেখার হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে; যা প্রায় ২৩ শতাংশ। সৌদি আরবের নারীদের মধ্যে এ হার বেড়েছে ১১ শতাংশ।
তবে চীনের নারীদের মধ্যে পর্নগ্রাফি দেখার হার কমেছে। গত বছর দেশটির নারীদের মধ্যে পর্ন দেখার হার ২৮ শতাংশ কম ছিল।
পর্নহাব তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে পর্ন সার্চের ক্রমানুসারে ২০ টি দেশের তালিকা দিয়েছে। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ভারত। এরপর আছে জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো।
এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি মানুষ পর্নসাইট ভিজিট করে এবং পর্নগ্রাফি দেখে, সংখ্যার হিসাবে তা ৭৬ শতাংশের বেশি। গতবছর সবচেয়ে বেশি যে চরিত্রগুলো খোঁজা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল হার্লি কুইন।
পর্নহাবের প্রকাশিত একটি গ্রাফিক চিত্রে মধ্যরাতেই বেশির ভাগ মানুষের পর্ন সার্চের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে গতবছর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে নতুন বছর শুরুর আগের দিন মধ্যরাতে পর্নগ্রাফি নিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখা গেছে কম।
অন্যদিকে, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় তাদের জাতীয় দিবসের দিন পর্নহাবে ভিজিটরের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।