অ্যাসাঞ্জ সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা চায় একুয়েডর

যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক ও কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হই চই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে সংকট নিরসনে উপায় খুঁজছে একুয়েডর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2018, 05:45 AM
Updated : 10 Jan 2018, 05:45 AM

পাঁচ বছর ধরে লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে থাকা অ্যাসাঞ্জকে অন্য কোথাও পাঠাতে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা দেশকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পেতে চাইছে তারা; যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার একুয়েডরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্দো এসপিনোসা বিদেশি সাংবাদিকদের এসব জানান বলে খবর রযটার্সের।

“মধ্যস্থতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি আমরা। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া কোনো সমাধানেই পৌঁছানো যাবে না। যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা ছাড়াও হবে না, যারা সমাধানের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে,” বলেন তিনি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি এসপিনোসা।

২০১২ সালে সুইডেনে হওয়া একটি ধর্ষণের অভিযোগে যুক্তরাজ্য থেকে বহিঃসমর্পণ এড়াতে লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। একুয়েডরের তখনকার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে ‘সাংবাদিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে তার রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর করেছিলেন।

গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জকে ‘হ্যাকার’ অ্যাখ্যা দিয়ে তাকে ঘিরে উদ্ভূত উপস্থিতিকে ‘জটিল’ বলেছিলেন। কোরেয়ার দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া মোরেনো অবশ্য উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে লন্ডনের দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছিলেন।  

সুইডেন গত বছরের মে মাসে অ্যাসাঞ্জের ওপর থেকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিলেও ব্রিটিশ পুলিশ বলেছে, লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলেই অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করা হবে।

অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা গ্রেপ্তারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে, যাদের লাখ লাখ গোপন সামরিক ও কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে দিয়ে বেকায়দায় ফেলেছিলেন তিনি।