তাছাড়া, ট্যাংকারটি থেকে ক্রমাগত তেল ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন চীনের কর্মকর্তারা।
দুর্ঘটনার কয়েকঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো নিখোঁজ সানচি নামক ওই ট্যাংকারের নাবিকরা। তাদের ২ জন বাংলাদেশি ও ৩০ জন ইরানি। এ পর্যন্ত একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকীদের কোনো হদিস মেলেনি। তারা সবাই নিহত হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে এবং উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না বলে জানিয়েছে পরিবহন মন্ত্রণালয়।
গত শনিবার রাতে পানামার পতাকাবাহী সানচি জাহাজটি ইরান থেকে তেল বহন করে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু পূর্ব চীন সাগরের সাংহাই উপকূল থেকে ২৬৯ কিলোমিটার দূরে হং কংয়ের সিএফ ক্রিসটাল জাহাজের সঙ্গে সানচির সংঘর্ষ হয়। কি কারণে এ সংঘর্ষ ঘটল তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ওই দুর্ঘটনার দুইদিন পর সোমবারও সানচি ট্যাংকারে অবিরাম আগুন জ্বলতে দেখা গেছে টিভি চ্যানেলের সংবাদ ফুটেজে।
ট্যাংকারটিতে এক লাখ ৩৬ হাজার টন তেল ছিল। গত দুই দিন ধরে ট্যাংকারের ফাটল থেকে তেল বেরিয়ে সাগরের পানিতে মিশছে। তাছাড়া, ট্যাঙ্কারটি জ্বলতে থাকায় এটি যে কোনো সময় বিস্ফোরিত হওয়া এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
ট্যাংকারটি উপকূল থেকে কিছুটা দূরে থাকায় পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কিছু কম হতে পারে বলে ধারণা করা হলেও পরিবেশবিদ ওয়েই সিয়াংগুয়া বলছেন, ব্যাপক এলাকাজুড়ে সামুদ্রিক জীবজগতে তেলের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
ওদিকে, সংঘর্ষে মালবাহী অন্য জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নিরাপদ আছে। এর ২১ জন চীনা নাবিকের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।