চলতি বছরের আগস্টে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতেই মাহাথিরকে মনোনীত করেছে বিরোধী জোট। নির্বাচনে জয়ী হলে ১৫ বছর পর আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারেন মাহাথির।
তবে প্রধানমন্ত্রীত্ব নয় বরং নির্বাচনে দাঁড়িয়ে মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক কে পরাজিত করাটাই মাহাথিরের প্রধান লক্ষ্য। কিছুদিন আগে সিএনবিসি টিভি চ্যানেলে এমন কথাই জানিয়েছিলেন মাহাথির।
দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে নাস্তানাবুদ নাজিবকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে এখন মাহাথিরের দল আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরোধী দলের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে।
মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম সমকামিতার অভিযোগে জেলে রয়েছেন। ৮ জুনে তার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর তিনি রাজক্ষমা পেলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।
ফলে নির্বাচনে মাহাথির জয়ী হলে আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হবে। বিরোধীদল জয় পেলে সঙ্গে সঙ্গেই আনোয়ারের জন্য রাজক্ষমা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। যাতে তিনি দ্রুতই সরকারে ভূমিকা রাখতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হতে পারেন।
নাজিবের কেলেঙ্কারি নিয়ে মালয়েশিয়ায় বাড়তে থাকা জনরোষের মুখে তাকে পরাজিত করতে অবসর থেকে বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হলেন মাহাথির। পাকাতান হারাপান জোটের (পিকেআর) প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মাহাথির এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হচ্ছেন আনোয়ারের স্ত্রী ওয়ান আজিজাহ।
ইউএমএনও দলের প্রধান হিসাবে ২২ বছর দেশ শাসন করা মাহাথির এক ভাষণে বলেছেন, “আমাদের প্রিয় দেশকে বাঁচানোই আমাদের মহান উদ্দেশ্য”। মাহাথির মুসলিম মালয়দের ভোট জিততে পারবেন বলেই বিরোধী জোট আশা করছে। মালয়েশিয়ার প্রায় ৬০ শতাংশই মালয় ভোটার।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন কোয়ালিশনই নির্বাচনে জয় পেতে পারে। কারণ, গোটা ব্যবস্থাটাই তাদের অনুকূলে আছে। সম্প্রতি অর্থনীতিও কিছুটা ভাল হয়েছে। তাছাড়া, বিরোধীদলেও একতার অভাব আছে।