রোববার বিকাল ৩টার দিকে শহরটির পেনরিথ এলাকার তাপমাত্রা রেকর্ড ৪৭ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে পৌঁছায়, ১৯৩৯ সালের পর যা সর্বোচ্চ।
প্রচণ্ড গরমে স্থানীয় অধিবাসীদের কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। এ সময় বেশি বেশি তরল খাবার নেয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইওয়েগুলোতে গাড়ির সংখ্যা কমে আসে।
রোদের তাপ থেকে বাঁচতে অনেককেই রাস্তার আশপাশের শপিংমল ও দোকানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। গা জুড়াতে অসংখ্য মানুষ ছুটছেন সমুদ্র সৈকতে।
রোববারের আগে ২০১৩ সালে সর্বশেষ সিডনির তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে।
গার্ডিয়ান বলছে,তাপমাত্রার কারণে সিডনি ও এর আশপাশের এলাকায় জরুরি অগ্নি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া ব্যুরোর ধারণা, রোববার বিকালের শেষে সিডনির সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় তাপমাত্রা কমে আসতে পারে; শহরের অন্যান্য অংশে তাপ নামবে সন্ধ্যার পর।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলোতে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা বছর বছর বেড়ে চলছে; কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির দুই বৃহত্তম শহর সিডনি ও মেলবোর্নকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোকাবেলা করতে হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা।