ইরানের জাতিসংঘ দূত গোলাম আলী খসরু লিখিত এ অভিযোগে বলেন, মার্কিন নেতারা একের পর এক ঊদ্ভট সব টুইট করে ইরানিদের বিক্ষোভ উস্কে দিয়েছে।
এভাবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ করেছে বলে ইরান অভিযোগ করেছে।
ইরানে ছয়দিনের চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ২১ জন নিহত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শহরে মূলত অথনৈতিক দুরবস্থা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধরা। পরে তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রূপ নিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
২০০৯ সালের পর থেকে ইরানে এবারের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকেই জন অসন্তোষের সবচেয়ে গুরুতর ও ব্যাপক প্রকাশ হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।
বিক্ষোভের শুরু থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট একে সমর্থন করেছেন। বুধবার এক টুইটে তিনি বিক্ষোভকারীদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বড় ধরনের সমর্থনেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
জাতিসংঘে দেওয়া চিঠিতে ইরানি দূত খসরু বলেন, ইরানের অভ্যন্তরীন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অতীত রেকর্ড আছে। আর বর্তমান মার্কিন প্রশাসন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার সব আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ওপরে ওপরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেও তারা ইরানিদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দিয়ে তাদেরকে অপমানিত করেছে। ইরানের সঙ্গে ছয়বিশ্বশক্তির করা পারাণবিক চুক্তিকে স্বীকৃতি না দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানিদেরকে অপমান করেছেন।