যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তান পূর্ণ সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে দেশটির সামরিক খাতে ২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সাহায্য বন্ধ হওয়ার পরপরই স্যান্ডার্স একথা জানালেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান ‘দ্বিমুখী নীতি’ অবলম্বন করছে।
পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধের পরিস্কার কারণ আছে জানিয়ে জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, “কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান (সন্ত্রাস দমনে) দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে আসছে। তারা একই সময়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে, আবার আফগানিস্তানে আমাদের সেনাদের উপর হামলাকারী জঙ্গিদের আশ্রয়ও দিচ্ছে।
এরপরই স্যান্ডার্স বলেন, “বর্তমান মার্কিন প্রশাসন এ দ্বিমুখী নীতি মেনে নেবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে আরো বেশি সহযোগিতা আশা করি।”
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তারা (পাকিস্তান) সন্ত্রাস বন্ধে আরো বেশিকিছু করতে পারে। আর আমরাও চাই তারা তা করুক।”
এ বিষয়ে ইসলামাবাদকে চাপ দিতে হোয়াইট হাউজ সুনির্দিষ্ট আরও কিছু পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে স্যান্ডার্স বলেছেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত ঘোষণা আসবে।
আর কেবল পাকিস্তানই নয়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জেরুজালেম সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ওই একই সময়ের মধ্যে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।