মার্কিন রাষ্ট্রদূত তলব: ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় পাকিস্তান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষুব্ধ সমালোচনামূলক টুইটের প্রতিবাদে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড হেলকে তলব করেছে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

>>রয়টার্স
Published : 2 Jan 2018, 10:42 AM
Updated : 2 Jan 2018, 10:43 AM

টুইটে ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও শঠতার’ অভিযোগ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা চাইতেই সোমবার হেলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম

ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্রাম্প সোমবার নতুন বছরের প্রথম দিনেই এক টুইটে পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধের ঘোষণা দিয়ে অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।

টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র বোকার মত পাকিস্তানকে গত ১৫ বছরে ৩ হাজার ৩শ’ কোটি ডলারের বেশি সাহায্য দিয়েছে। বিনিময়ে পাকিস্তান মিথ্যা বলা আর প্রতারণা ছাড়া কিছুই দেয়নি।  তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের বোকা ভেবেছে।

তিনি আরও লেখেন, “আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী যেসব সন্ত্রাসীকে তাড়া করে ফিরছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। সহযোগিতা করছে কমই। আর না।”

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা এম. আসিফ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আফগানিস্তানের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতায় হতাশা থেকেই এমন মন্তব্য বেরিয়ে এসেছে বলে পাল্টা ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

আসিফ বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) বার বার আফগানিস্তানে ব্যর্থতার হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন পাকিস্তানের ওপর দিয়ে।”

পাকিস্তানের মার্কিন সাহায্য দরকার নেই বলেও উল্লেখ করেন আসিফ।

ওদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ আব্বাসি মঙ্গলবার ট্রাম্পের টুইট নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বুধবার সামরিক প্রধানদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের অবনতিশীল সম্পর্কে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ মুহূর্তে পাকিস্তানে ২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা নেই হোয়াইট হাউজের। প্রশাসন পাকিস্তানের সহযোগিতার বিষয়টি পুনঃপর্যালোচনা করে দেখছে।

গত অগাস্টে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানে অর্থ সাহায্য দেরীতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিল।