যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি হুঁশিয়ার করেছেন, বলেছেন পারমাণবিক অস্ত্র ছোড়ার একটি বোতাম সবসময় তার ডেস্কে থাকে। আবার দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে কিম বলেছেন, আলোচনায় বসতে তিনি সব সময়ই প্রস্তুত।
নববর্ষ উপলক্ষে উত্তর কোরিয়ার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে কিমের এই বার্তা আসে বলে বিবিসির খবর।
ভাষণে কিম বলেন, পুরো যুক্তরাষ্ট্রই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পাল্লার মধ্যে রয়েছে; আর এটা সত্যি, ফালতু হুমকি নয়।
আর দক্ষিণের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার আগ্রহ বোঝাতে কিম বলেছেন, তার দেশ হয়ত সিউলে আসন্ন উইন্টার অলিম্পিকে একটা দলও পাঠাতে পারে।
আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে গতবছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। চালিয়েছে ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা।
গত বছরের শেষ প্রান্তে পিয়ংইয়ং যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় তা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরাও।
ফলে রাজনৈতিকভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে নতুন নিষেধাজ্ঞা আর অর্থনৈতিক অবরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
কিন্তু কিম তার নববর্ষর ভাষণেও বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বোমা ও ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির পরিমাণ ও গতি আরও বাড়ানো উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তরের যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে, আগামী বছরগুলোতে তার প্রশমন সম্ভব বলেই কিমের বিশ্বাস।
তিনি বলেছেন, “২০১৮ সাল দুই কোরিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ বছর। উত্তর কোরিয়া এ বছরই প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে, আর দক্ষিণ কোরিয়া এ বছর আয়োজন করেছে উইন্টার অলিম্পিক।”
বিবিসি লিখেছে, গত এক বছর দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তপ্ত কথার লড়াইয়ের পর কিমের সুরে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
কিম বলেছেন, “উইন্টার অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ হতে পারে দুই দেশের মানুষের ঐক্যের প্রকাশ ঘটানোর একটি বড় সুযোগ। আমরা এই ক্রীড়া আসরের সাফল্য কামনা করি। দুই কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ বিষয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসতে পারেন।”