বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লোরেস্তান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর দাবি করেছেন, ওই বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গুলিতে নয় বিদেশি চরদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে প্রদেশটির দোরুদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে গুলিতে ওই দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর দোরুদে সারা শরীরে রক্ত মাখা দুই তরুণকে নিশ্চিলভাবে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। নেপথ্য বর্ণনায় ওই দুই তরুণ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া দাঙ্গা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
কিন্তু সাক্ষাৎকারে লোরেস্তানের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুল্লাহ খোজাস্তেহপুর বলেছেন, “শনিবার দোরুদে অবৈধ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা শুরু হয় এবং দুর্ভাগ্যবশত দুই ব্যক্তি নিহত হয়।
“নিরাপত্তা বাহিনী বা পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি। আমরা প্রমাণ পেয়েছি, ইসলামি বিপ্লবের শত্রু তাকফিরি গোষ্ঠীগুলো ও বিদেশি চররা ওই সহিংসতায় জড়িত ছিল।”
ইরানি কর্তৃপক্ষ ‘তাকফিরি গোষ্ঠী’ বলতে সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে বিশেষ করে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) বুঝিয়ে থাকে।
টানা তিনদিন ধরে চলা ইরানের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শনিবার আরো বিস্তৃত হয়ে নতুন কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি সহিংসতার মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ও কয়েকটি সরকারি ভবনে হামলা চালায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।