সাংবাদিকদের সঙ্গে তাদের দোভাষী ও গাড়িচালককেও শুক্রবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলার অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর রাজধানী নিপিধোর পার্লামেন্ট ভবনের কাছ থেকে মালয়েশিয়ার প্রতিবেদক মোক চই লিন এবং সিঙ্গাপুরের ক্যামেরাম্যান লাও হোন মেংকে আটক করে পুলিশ। একইসঙ্গে আটক হন তাদের দোভাষী হিসেবে কাজ করা স্থানীয় সাংবাদিক অং নায়িং সোয়ে ও গাড়িচালক হ্লা তিন।
ঔপনিবেশিক আমলের বিমান আইনে সাজাপ্রাপ্ত এই চারজন নভেম্বর থেকে ২ মাসের জেল খেটেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অন্যান্য অভিযোগে তাদের আরো দীর্ঘদিন কারাভোগের কথা থাকলেও ওই অভিযোগগুলো তুলে নেওয়ায় তারা মুক্তি পেলেন।
চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ড্রোন আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছিল; বিদেশি দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনেরও অভিযোগ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার সেসব অভিযোগ তুলে নিয়েছে পুলিশ। এরপরই তাদের মুক্তি মেলে।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ না হওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাংবাদিকদের মুক্তির পেছনে তাদের নাগরিকত্বও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।“দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতিও অভিযোগ তুলে নেওয়ার উদ্দেশ্য,” বলেন মিয়ানমার পুলিশের লেফটেনেন্ট টুন টুন উইন।
শুক্রবার সকালে দোভাষী নায়িং সোয়েকে কারাগার থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সরকারের দমনপীড়নের অভিযোগের মধ্যেই গত কয়েক মাসে মিয়ানমার বেশ ক’জন বিদেশি সাংবাদিককে ঔপনিবেশিক বিভিন্ন আইনের আওতায় আটক করেছে।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইয়াঙ্গুন পুলিশ রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে। ৩১ বছর বয়সী ওয়া লোন ও ২৭ বছর বয়সী কিয়াও সোয়ে ও রাখাইনের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছিলেন।
অগাস্টের শুরু থেকে ওই এলাকায় মিয়ানমার বাহিনীর বর্বর নির্যাতন ও দমনপীড়নে সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে।