রেকর্ড ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা

হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরের অঙ্গরাজ্যগুলো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2017, 06:08 AM
Updated : 29 Dec 2017, 06:08 AM

অনেক এলাকায় তাপমাত্রার অধোগতি রেকর্ড ছাড়িয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। 

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

ঠাণ্ডায় মিনেসোটা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, শিকাগো, কানসাস, পেনসিলভানিয়া, নিউ জার্সি ও নিউ ইয়র্কের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এর মধ্যে ‘আইসবক্স অব দ্য নেশন’ খ্যাত মিনেসোটার তাপমাত্রা নেমেছে সবচেয়ে বেশি, মাইনাস ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের মাউন্ট ওয়াশিংটনের তাপমাত্রা নেমে এসেছে রেকর্ড মাইনাস ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ এলাকাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়ার’ বাড়ি বলা হয়।

কানাডার কিছু অংশে উত্তর মেরু কিংবা মঙ্গল গ্রহের চেয়েও বেশি ঠাণ্ডা পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বড়দিন থেকে শুরু হওয়া তুষারপাতে জবুথবু হয়ে পড়েছে পেনসিলভানিয়ার এরি শহর; শহরটির রাস্তাঘাট  ৫ ফুটের বেশি পুরু তুষারে ঢাকা পড়ার পর তা সরাতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।

সপ্তাহের শেষ দিকে এরি এবং গ্রেইট লেক এলাকায় আরও তুষার পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।

নিউ জার্সির ভেন্টনর ও ওশান সিটি ‘বরফ জলে নিমজ্জনের’ দুটি বড় আয়োজন বাতিল করেতে বাধ্য হয়েছে; একটুখানি উষ্ণতায় বছরের প্রথম দিন কাটাতে লাখ লাখ মানুষ আটলান্টিক সমুদ্রের পারে ছুটছে।

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের বার্ষিক বল ড্রপ কর্মসূচির সময়ও রেকর্ডের কাছাকাছি ঠাণ্ডা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিউ ইয়র্কের উত্তরের শহরগুলোতেও পাঁচ ফুটের কাছাকাছি তুষারের স্তর জমেছে।

লরেইন শহরের দমকলকর্মীরা তুষারে ঢাকা একটি বাড়ির ভেতর থেকে এক নারীকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।

শিকাগোতে গাড়ির ভেতরে থাকা ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয়েছে বলে সিবিএসের এক খবরে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার কানসাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর জন্যও বরফশীতল পরিবেশকে দায়ী করা হচ্ছে। 

আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, তীব্র বাতাসের কারণে বিভিন্ন শহরের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। হিম বাতাস নিউ ইংল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়ার তাপমাত্রা মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনতে পারে। ফ্রস্টবাইট ও হাইপোথারমিয়া থেকে সতর্ক থাকতে অধিবাসীদের পরামর্শও দিয়েছে তারা।

ঠাণ্ডার এ ছোবল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ভাবনায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। 

উত্তরের রাজ্যগুলোতে তীব্র ঠাণ্ডা পড়ার পর টুইটারে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ‘কিছু করা যেতে পারে’।

ট্রাম্প এর আগে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতিকে ‘গালগল্প’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। চলতি বছরের জুনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও সরিয়ে নেন।