যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন তার সদ্য প্রয়াত স্ত্রীর স্মরণে ‘জ্যাকসন’ নামের এ ম্যাগনোলিয়া গাছটি লাগিয়েছিলেন ।
এরপর থেকে দুই শতক ধরে হোয়াইট হাউজের অসংখ্য ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের দৃশ্যপটে ছিল গাছটি; ১৯২৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ২০ ডলারের নোটেও ছিল এর স্থান।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাছটি ক্ষয়ে যাচ্ছে। তাই সেটি রাখা নিরাপদ নয়।
ফলে, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নির্দেশে গাছটির বড় একটা অংশই কেটে ফেলা হচ্ছে। তবে মেলানিয়া গাছটির চারা সংরক্ষণ করতে বলেছেন, যাতে নতুন করে ওই একই জায়গায় তা রোপন করা যায়। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার ওঠানামার সময় দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী যারা গাছটির সামনে দাঁড়ান, তাদের নিরাপত্তার জন্য শতবর্ষী এ গাছটি হুমকি হওয়ার কারণেই ফার্স্ট লেডি সেটি কেটে ফেলতে বলেছেন।
টেনিসির খামার থেকে সাবেক ফার্স্ট লেডি র্যাচেল জ্যাকসনের প্রিয় ম্যাগনোলিয়া গাছের একটি অংশ এনে হোয়াইট হাউজে লাগানো হয়েছিল।
১৯৭০ এর দশকে গাছটির গোড়ার একটি অংশ প্রথমবার খসে পড়ে। তখন সেটি সিমেন্ট দিয়ে পুরে দেওয়া হয়। সেসময় এভাবেই গাছের ক্ষয় রোধ করা হত, যদিও এতে ক্ষয় বেড়ে যেত বলেই অনেকের মত।
১৯৮১ সালে গাছটি রক্ষা করতে সিমেন্ট সরিয়ে সেখানে খিলান আর তার দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়।
প্রথম দর্শনে গাছটি স্বাভাবিক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে মনে হলেও সিএনএন এর প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, ম্যাগনোলিয়া গাছটি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং কৃত্রিম সহায়তায় দাঁড়িয়ে আছে।
দীর্ঘ হোয়াইট হাউজ জীবনে গাছটি ৩৯ জন প্রেসিডেন্টের শাসনামল দেখেছে। আমেরিকান গৃহযুদ্ধ, দু’দুটি বিশ্বযুদ্ধও দেখেছে।
স্মৃতিবিজড়িত গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্তের কথা শুনে টুইট করেছেন চেলসি ক্লিনটন।
দীর্ঘদিন ধরে যারা গাছটির দেখাশোনা করেছে তাদের পাশাপাশি ক্লিনটন কন্যা চারা সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের জন্য মেলানিয়াকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন।