আইএস এর আমাক বার্তা সংস্থা এক অনলাইন বিবৃতিতে বলেছে, একজন বোমারু বিস্ফোরক বেল্ট পরে আত্মঘাতী হামলাটি চালিয়েছে। এরপর একই এলাকায় আরো তিনটি বোমা বিষ্ফোরণ হয়েছে।
তবে বার্তা সংস্থাটি এ দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেয়নি।
বৃহস্পতিবার এ হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত এবং আরও অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হতাহতদের অনেকেই শিক্ষার্থী।
কাবুলের পশ্চিমাংশে শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকার ওই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি প্যানেল আলোচনার সকালের পর্ব চলার সময় হামলাটি চালানো হয়। আলোচনায় উপস্থিতদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী ছিলেন।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে এর আগে এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত না বলে জানায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানের বার বার জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। তাছাড়া, দেশজুড়ে শিয়াদের ওপরও আইএস এর হামলা সম্প্রতি কয়েক মাসে বেড়ে গেছে।
শিয়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বৃহস্পতিবারের হামলাটি আইএস এর চালানো সর্বসাম্প্রতিক হামলা। বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটা ছাড়াও ভবনেরও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ‘মানবতার বিরুদ্ধে এ অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়’ বলে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
গতমাসে কাবুলের বেসরকারি একটি টেলিভিশন স্টেশনে রক্তক্ষয়ী হামলার পর এ হামলা হল। ওই হামলার দায়ও স্বীকার করেছিল আইএস।
সম্প্রতি কয়েকমাসে জঙ্গি গোষ্ঠীটি কাবুলের পশ্চিমে শিয়া অবস্থানগুলোতেও হামলা বাড়িয়েছে। কাবুলের ওই অঞ্চলেই বেশির ভাগ শিয়ার বাস।
তালেবান ও আফগান-যুক্তরাষ্ট্র/নেটো বাহিনীর অভিযানের মুখে আইএস আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিতাড়িত হওয়াসহ অনেক এলাকা খোয়ালেও উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আবারো নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে।
আর এরপর থেকেই তারা মূলত গেরিলা কৌশলে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের যোদ্ধার সংখ্যা আনুমানিক ১ হাজার থেকে ৫ হাজার।