চীন থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তিব্বতি চলচ্চিত্র নির্মাতা

অলিম্পিক ও তিব্বত বিষয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চীনে কারাদণ্ড ভোগ করা এক তিব্বতি চলচ্চিত্র নির্মাতা যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2017, 09:44 AM
Updated : 28 Dec 2017, 09:44 AM

তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করা একটি গোষ্ঠী বেইজিংয়ের স্থানীয় বুধবার রাতে চলচ্চিত্রকার ধোন্দুপ ওয়াংচেনের যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

তিব্বতিদের নিয়ে বানানো একটি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২০০৯ সালের শেষের দিকে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ চিংহাইয়ের একটি আদালত ওয়াংচেনকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

তার নির্মিত‘লিভিং ফিয়ার বিহাইন্ড’ নামের প্রামাণ্যচিত্রটিতে অধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার প্রতি সাধারণ তিব্বতিদের ভক্তি এবং তিব্বতি সংস্কৃতির পদদলন নিয়ে অভিযোগের কথা ছিল।

২০০৮ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের সময় অল্প কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গোপনে চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়। সাক্ষাৎকারধর্মী এ চলচ্চিত্রটিতে সাধারণ তিব্বতিরা তাদের নির্বাসিত নেতা দালাই লামার প্রতি ভালবাসার কথা বলেছিল, আর তাদের অবস্থার উন্নতিতে অলিম্পিকও যে কিছু করতে পারবে না সে বিষয়ে তাদের ভাবনা তুলে ধরেছিল।

ওয়াংচেনের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করা ‘ফিল্মিং ফর তিব্বত’ নামে একটি সংগঠন চীন থেকে পালানোর পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে।

“অনেক বছর পর প্রথমবারের মতো আমি নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা অনুভব করছি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যাদের কারণে আমি আবার স্ত্রী সন্তানকে জড়িয়ে ধরতে পেরেছি। যদিও নিজ দেশ তিব্বত ছেড়ে আসার জন্য যন্ত্রণাও হচ্ছে,” যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর ওয়াংচেন এমনটাই বলেন বলে জানিয়েছে ‘ফিল্মিং ফর তিব্বত’।   

২০১৪ সালে চিংহাই প্রদেশের রাজধানী জিনিংয়ের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও ওয়াংচেন কড়া নজরদারির মধ্যে ছিলেন বলে দাবি সংগঠনটির। তার চলাফেরা ও যোগাযোগের ওপর কর্তৃপক্ষ নজর রাখছিল বলে জানিয়েছে তারা।

“ধোন্দুপ ওয়াংচেন সফলভাবে কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে তার তিব্বতের বাড়ি ও পরে চীন থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছেন,” বলে ‘ফিল্মিং ফর তিব্বত’। যদিও ওয়াংচেন কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি তারা।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি এবং চিংহাইয়ের প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তারা ফোন ধরেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

স্বায়ত্তশাসিত তিব্বতের সীমানা লাগোয়া চিংহাই প্রদেশে অনেক তিব্বতি বসবাস করেন।