গত রোববার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আলোচনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৫৪০ কোটি ডলারের বাজেট অনুমোদন করা হয় বলে জানানো হয়েছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এর প্রতিবেদনে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি ওই আলোচনায় এক বিবৃতিতে বলেন,, তার দেশ জাতিসংঘের জন্য বরাদ্দ ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার কমিয়ে দেওয়ার একটি রফায় পৌঁছেছে। আগামীতে এই বরাদ্দে আরও কাটছাঁট হবে।
জাতিসংঘের ‘অদক্ষতা এবং অপচয়ের’ বিষয়টি এখনও সবাই জানে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমেরিকার জনগণের দানের টাকার এমন ব্যবহার আমরা চলতে দিতে পারি না।”
‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকা লিখেছে, জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, এ বিশ্ব সংস্থার বার্ষিক খরচ মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হয় মোট বাজেটের ২২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি ডলার।
এছাড়া, জাতিসংঘ শান্তি মিশনের খরচের ২৮ দশকি ৫ শতাংশও যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে, যার পরিমাণ ৬৪০ কোটি ডলারের মত।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতির বিরোধিতা করলে সদস্যদেশগুলোকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ওই স্বীকৃতি ‘অকার্যকর’ ও বাতিল করার জন্য গত ২১ ডিসেম্বরের ভোটাভুটিতে ১২৮ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে রায় দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে ৩৫টি দেশ। এরপরই জাতিসংঘে যুক্তরষ্ট্রের বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা এল।