দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় সাত ইসরায়েলি দাবাড়ুকে ভিসা দেওয়া যায়নি বলে সৌদি আরবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন বলে খবর বিবিসির।
ইসরায়েলের দাবা ফেডারেশন বলছে, ঘটনার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করবে তারা ।
বিবিসি জানিয়েছে, কট্টর রক্ষণশীল দেশের ভাবমূর্তি পাল্টে বিশ্বের কাছে নিজেদের তুলে ধরার অংশ হিসেবেই সৌদি আরব প্রথমবারের মতো এ ধরনের বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। প্রতিযোগিতার উন্মুক্ত বিভাগে জয়ী দাবাড়ু পাবেন সাড়ে ৭ লাখ ডলার; নারীদের বিভাগে বিজয়ী প্রতিযোগীকে আড়াই লাখ ডলার দেওয়া হবে।
ইসরায়েলিদের ভিসা না দিলেও কূটনৈতিকভাবে টানাপোড়েন থাকা কাতার ও ইরানের খেলোয়াড়দের শেষ মুহুর্তে ভিসা দিয়েছে সৌদি আরব।
ইসরায়েলি দাবা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড়রা ঠিকই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস ছিল।
ওয়ার্ল্ড চেস ফেডারেশনকে বিভ্রান্ত করে সৌদি আরব আয়োজক হতে পেরেছে বলেও অভিযোগ তাদের।
সৌদি আরবে জনসমক্ষে আসা নারীদের আপাদমস্তক, ঢিলেঢালা পোশাক ‘আবায়া’ পরতে হলেও কিং সালমান ওয়ার্ল্ড র্যাপিড অ্যান্ড ব্লিটজ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নারীদের হিজাব কিংবা ‘আবায়া’ পরা বাধ্যতামূলক নয় বলেও আয়োজকরা নিশ্চিত করেছিলেন।
এরপরও দুটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুটধারী ইউক্রেনের আন্না মুজিচুক টুর্নামেন্টে অংশ না নেবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় অংশ না নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব হারাতেও আপত্তি নেই তার।
“রেকর্ড পুরস্কার সত্বেও আমি রিয়াদে খেলতে যাব না,” এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন ২৭ বছর বয়সী এ দাবাড়ু।
এমন এক সময়ে মুজিচুকের এ প্রতিবাদ, যখন সৌদি আরবের নারীদের স্বাধীনতা বিষয়ে মনোযোগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চলতি বছর এক ঘোষণায় সৌদি কর্তৃপক্ষ আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে নারীদের গাড়ি চালনায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে; দেওয়া হয়েছে নারীদের স্টেডিয়াসে বসে খেলা দেখারও অধিকার।
এরপরও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কট্টর ইসলামি এ দেশটিকে মানবাধিকার ও লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনের ক্ষেত্রে এখনো অনেকদূর যেতে হবে।
রিয়াদে অনুষ্ঠিত এবারের আয়োজন নিয়ে আরও অনেক খেলোয়াড়ই আপত্তি জানিয়েছেন।
আমেরিকার তিন নম্বর র্যাঙ্কিংধারী দাবাড়ু হিকারু নাকামারু সৌদি আরবের আয়োজক হওয়ার ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।