ওই দুইজনের নাম কিম জং-সিক ও রি পিয়ং-চোল বলে জানিয়ে এই দুজনকে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ‘প্রধান নেতা’ বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়, খবর বিবিসির।
নিষেধাজ্ঞার ফলে সিক ও চোল যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানি বা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোনো সম্পদ বা অর্থ থেকে থাকলে তা জব্দ করা হবে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় তোলা ছবিগুলোতে এই দুই ব্যক্তিকে নিয়মিত দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা যায়।
জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়ার যে ১৬ নাগরিকের নাম আছে, তার মধ্যে সিক এবং চোলের নামও আছে।
রাশিয়ায় পড়াশোনা করা চোল বিমানবাহিনীর সাবেক জেনারেল, সিক অভিজ্ঞ রকেটবিজ্ঞানী। শীর্ষ নেতা কিমই তাদেরকে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিয়ে আসেন বলে মে মাসে প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে। সিক ও চোল কিমের বিশেষ প্রিয় ব্যক্তি বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আরও উচ্চাভিলাষী আকার ধারণ করেছে। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র এখন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।
গত মাসে ছোড়া সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞ আরোপ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা ওই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটিতে উত্তর কোরিয়ার পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য ও অপরিশোধিত খনিজ তেল আমদানি ৯০ শতাংশ হ্রাস করার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি এতে প্রবাসী কর্মজীবী উত্তর কোরীয় নাগরিকদের ২৪ মাসের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার মেশিনারি ও ইলেকট্রিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এসব নিষেধাজ্ঞাকে পুরোপুরি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সমতুল্য বলে দাবি করে একে ‘যুদ্ধের শামিল’ বলে উল্লেখ করেছে পিয়ংইয়ং।