চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মঙ্গলবার একথা বলেছেন।
পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে চীন-পাকিস্তানের এই অর্থনৈতিক করিডোর চীনের 'ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড' পরিকল্পনার অংশ। এর মধ্য দিয়ে চীন এশিয়া, ইউরোপ এবং এর বাইরের দেশগুলোর সঙ্গেও বাণিজ্য পথ খুলতে চায়।
ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, এরকম একটি অর্থনৈতিক করিডোর গোটা অঞ্চলের জন্যই লাভজনক হতে পারে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আফগানিস্তানের জনগণের জীবনমান উন্নয়নের তাগিদ আছে। তারা এমন উদ্যোগে সাড়া দেবে এমনটিই তিনি আশা করছেন।
তাছাড়া, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান তাদের টানাপোড়েনের সম্পর্কও মেরামত করতে রাজি আছে বলে জানান ওয়াং ই।
তালেবান জঙ্গিদেরকে পাকিস্তানি মদদের অভিযোগ নিয়ে আফগান-পাকিস্তান সম্পর্ক বরাবরই ভাল যাচ্ছে না। আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব কমানোই পাকিস্তানের উদ্দেশ্য বলে অভিযোগ কাবুলের। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
চীন সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। আর পাকিস্তানও বলছে, তারা একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আফগানিস্তান দেখতে চায়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং দু’দেশের সম্পর্ক মেরামতে রাজি থাকার কথা জানিয়ে বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতেই চীন এবং পাকিস্তান পারষ্পরিক সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে আফগানিস্তান পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডোর সম্প্রসারণ করতে চাইছে।
তবে এজন্য তিন দেশের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সমঝোতা হওয়া দরকার বলে ওয়াং উল্লেখ করেন।