সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংকে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান।
পরদিন ক্রেমলিন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “উত্তেজনা হ্রাসের পথ সুগম করতে রাশিয়া স্পষ্টত প্রস্তুত।”
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের কথার লড়াই কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। এ বছর দেশটি তাদের ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষাও চালিয়েছে। যার জেরে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর কঠোর থেকে কঠোরতর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।
মস্কো বরাবরই ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংকে আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরাও আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান চাইছেন। যদিও ট্রাম্প কোনো ধরনের আলোচনা শুরুর আগে পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পের কাজ বন্ধের প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ায়ও আলোচনা চাইছে এবং আগামী বছর তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রী বলেন, “ উত্তর কোরিয়া কার্যত পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চালালেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাইবে।”