ব্রিটিশ জলসীমার কাছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

উত্তর সাগরে যুক্তরাজ্যের জলসীমার কাছে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ঘোরাফেরা করার সময় একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ সেটিকে পাহারা দিয়ে রেখেছিল বলে জানিয়েছে রাজকীয় ব্রিটিশ নৌবাহিনী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2017, 06:18 AM
Updated : 26 Dec 2017, 03:23 PM

খ্রিস্টীয় বড়দিনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী জানিয়েছে, ‘জাতীয় স্বার্থে’ উত্তর সাগর এলাকায় রুশ যুদ্ধজাহাজ অ্যাডমিরাল গোরশকভের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরে রাখে ব্রিটিশ ফ্রিগেট এইচএমস সেইন্ট আলবানস। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্যের জলসীমার কাছে রাশিয়ার বাহিনীর আনাগোনা বেড়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।

বিষয়টি নিয়ে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেনি।

সমুদ্রের তলদেশে থাকা ইন্টারনেট কেবলের জন্য রাশিয়া নতুন হুমকি হয়ে উঠছে বলে যুক্তরাজ্য সম্প্রতি সতর্ক করেছিল। 

চলতি মাসের প্রথমদিকে যুক্তরাজ্যের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এয়ার চিফ মার্শাল স্যার স্টুয়ার্ট পিচ বলেছিলেন, ব্রিটেন ও নেটোর অগ্রাধিকারভিত্তিতে এসব যোগাযোগ লাইনগুলোর সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।

এই লাইনগুলো কাটা পড়লে বা একগুলোতে কোনো বিঘ্ন ঘটলে তা ‘তাৎক্ষণিকভাবে ও সম্ভাব্য বিপর্যকরভাবে’ অর্থনীতিতে আঘাত হানতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশকে যুক্ত করা ইন্টারনেটের ওই ক্যাবলগুলো সাগরের তলদেশে ছড়িয়ে আছে।

বিবৃতিতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী জানিয়েছে, ‘নতুন রুশ যুদ্ধজাহাজ অ্যাডমিরাল গোরশকভ যুক্তরাজ্যের জলসীমার কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় সেটির দিকে নজরে রাখতে’ ২৩ ডিসেম্বর এইচএমএস সেইন্ট আলবানসকে ডাকা হয়।

রুশ জাহাজের ওপর নজরদারির জন্য ব্রিটিশ ওই ফ্রিগেটটি বড়দিনেও (২৫ ডিসেম্বর) সাগরে অবস্থান করে পরদিন মঙ্গলবার পোর্টসমাউথ বন্দরে ফিরে আসে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

পরে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন বলেন, “জলসীমার প্রতিরক্ষায় কিংবা যে কোনো ধরণের আগ্রাসনের মোকাবেলায় কখনোই ইতস্তত করবো না। দেশের, জনগণের কিংবা জাতীয় স্বার্থের সুরক্ষায় ব্রিটেন কখনোই ভীত নয়।”

বড়দিনের আগে উত্তর সাগর ও ইংলিশ চ্যানেলের কাছে রাশিয়ার একটি গোয়েন্দা জাহাজের ওপর নজর রাখতে আরেকটি ব্রিটিশ ফ্রিগেট এইচএমএস টাইনকেও ডাকা হয়েছিল বলে ব্রিটিশ নৌবাহিনী জানিয়েছে।

পাশাপাশি রাশিয়ার আরও দুটি নৌযানের যাত্রাপথে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও নজরদারি করে বলে জানিয়েছে তারা।