নিজগ্রামে‘শ্যুটার দাদী’ নামে পরিচিত ৮০ বছরের এই বৃদ্ধা যৌতুক বিরোধী ভূমিকায় সাড়া জাগিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশে যেখানে যৌতুকের দাবিতে খুনোখুনি পর্যন্ত ঘটে, সেই প্রদেশেই ‘শু্যটার দাদীর’ গ্রামে চিত্র একেবারে ভিন্ন। সে গ্রামে কোন মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক চাইলেই লোকে বলে, ‘দাদী গুলি করে মারবে।’
এ জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এখন লিঙ্গ বৈষম্য অবসানে লড়াই করতে চান পারকাশি।
বিবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যে বয়সে পুরুষরা অবসরে গিয়ে আরাম করার কথা চিন্তা করে’ সেই বয়সে তিনি নিজের একটি পরিচয় বানাতে চেয়েছেন।
“আমি কখনও স্কুলে যাইনি, কেউ আমাকে কখনও পড়ায়নি। কেউ এসব নিয়ে ভাবেইনি। এখানে সবাই ঘরের কাজ, ক্ষেতের কাজ এসবই করে।”
নাতনিদের শ্যুটিং অনুশীলন দেখতে গিয়ে প্রথম বন্দুক হাতে নেন পারকাশি।
“আমি প্রথম দুই/চারদিন বসে তাদের অনুশীলন দেখি। তারা একদিন আমাকে এক রাউন্ড গুলি চালাতে বলে। গুলি টার্গেটে গিয়ে লাগে। কোচ আমার প্রশংসা করে অনুশীলন শুরু করার কথা বলেন। বৃদ্ধ বয়সে শ্যুটিং অনুশীলন শুরু করলে লোকজন হাসাহসি করবে ভেবে আমি শুরুতে গুরুত্ব দেইনি।”
কিন্তু গোপনে অনুশীলন শুরু করেন পারকাশি। নিয়মিত পানি ভর্তি স্টিলের জগ দিয়ে ভারসাম্য রক্ষার অনুশীলন করতে থাকেন তিনি।
শুরুতে লোকজন তাকে নিয়ে মজা করলেও এখন তিনি শ্যুটিংয়ে ভারতের জাতীয় চ্যাম্পিয়নদের একজন।
টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাকে দেখানো হয়েছে। তার জীবনের গল্প এখন অনেক মেয়ের কাছে অনুপ্রেরণা।
অনেক মেয়ে পারকাশিকে দেখে শ্যুটিংয়ে আসেছে।
এখন নিজ গ্রামে আন্তর্জাতিক মানের একটি শ্যুটিং ক্লাব গঠন করার স্বপ্ন দেখছেন অদম্য এই নারী।