দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার কথা উল্লেখ করে পোপ আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকটের একটি সমাধানে পৌঁছার আহ্বান জানান। যাতে করে শান্তিপূর্ণভাবে দুই রাষ্ট্র সহাবস্থান করতে পারে।
সেন্ট পিটারস স্কয়ারে সোমবার উপস্থিত হাজার হাজার অনুসারীর সামনে পোপ বলেন, “আসুন আমরা প্রার্থনা করি যেন সবপক্ষ আলোচনার মধ্যেমে একটি সমঝোতায় পৌঁছায় এবং ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ নিয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হয়। এটি এমন একটি পথ যেখানে দুই দেশ সমঝোতার মাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানায় থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে।
“আমরা ইহুদিদের মধ্যপ্রাচ্যের সন্তান হিসেবে বিবেচনা করি। যারা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে ক্রমাগত ভুগছে।”
তিনি বলেন, “উৎসবের এই দিনে আসুন আমরা ঈশ্বরের কাছে জেরুজালেম এবং এ গোটা পবিত্র ভূমির শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।”
যদিও আন্তর্জাতিক মহল ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে সমর্থন দেয়নি।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার জেরুজালেম নিয়ে জনসম্মুখে কথা বললেন খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে আছে জেরুজালেম নিয়ে বিবাদ। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায়। অন্যদিকে, ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকে তাদের ‘একক রাজধানী’ বলে বিবেচনা করে।
একইসঙ্গে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধের হুমকি উপক্ষো করে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১২৮টি দেশ জেরুজালেম বিষয়ে তার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।