ফিলিপিন্সে ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০

ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় টেম্বিন আঘাত হানার পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ২৩০ ছাড়িয়ে গেছে এবং বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2017, 07:19 AM
Updated : 25 Dec 2017, 07:21 AM

ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালানোর পর টেম্বিন সোমবার ভিয়েতনামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এ দিন রাতে ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ভিয়েনামের কর্তৃপক্ষ দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলো থেকে লাখ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

প্রতিঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে শুক্রবার রাতে টেম্বিন ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে তাণ্ডব চালানোর পর শনিবার পালাওয়ান দ্বীপে পৌঁছায়; রোববার ঝড়টি পরে আরও পশ্চিমে ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হয়।

খ্রিস্টান প্রধান ফিলিপাইনে বড়দিনের ঠিক আগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় টেম্বিন।

মিন্দানাওয়ের একাংশে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগে থেকেই ওই এলাকার লানাও দেল নোর্তে ও লানাও দেল সুর প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের পর শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিপাতে অনেক এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় ও ভূমিধস হয়।

ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় টুবোড ও পিয়াগাপো শহরে। শহর দুটির বেশিরভাগ বাড়িই পাথরের নিচে চাপা পড়ে।

কর্তৃপক্ষের ধারণা, প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর পর তার পুরো ছবি পরিষ্কার হবে।

স্বাস্থ্যকর্মী আর্তুরো সিমবাজোন জানিয়েছেন, মিন্দানাওয়ের জামবোয়াঙ্গা উপদ্বীপের উপকূলীয় আনুঙ্গান গ্রামের পুরোটাই নদীতে ভেসে আসা ভাঙা গাছের গুড়ি, বোল্ডার ও কাদার আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে সাগরের দিকে ভেসে গেছে।

গ্রামটির শুধু মসজিদটি রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন আঞ্চলিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান ম্যানুয়েল লুয়িস ওচোটোরেনা।

তিনি বলেন, “জামবোয়াঙ্গা উপদ্বীপের অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ নেই, যোগাযোগ না থাকায় সেসব এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে সেতু ভেঙে পড়ায় কিছু শহরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।”

ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডবে মিন্দানাওয়ের হাজার হাজার বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

প্রতি বছর ফিলিপিন্সে প্রায় ২০টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। নিয়মিত সতর্ক করা হলেও এসব ঘূর্ণিঝড়ে প্রায়ই অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটে।

২০১৩ সালে দেশটির মধ্যাঞ্চলে মহাঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে প্রায় আট হাজার মানুষ নিহত ও দুই লাখ পরিবার গৃহহীন হয়েছিল।