রুশ নির্বাচনী কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নাভালনিকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অযোগ্য ঘোষণা করে রাখায় তার ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না হলেও এরই মধ্যে হাজারো মানুষের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
নাভালনির সমর্থকরা তার মনোনয়নের জন্য সমাবেশ করেছেন এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন। তাকে সমর্থন দেওয়া রুশরা রোববার রাশিয়ার ২০ টি শহরে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করতে সমবেত হন।
মস্কোয় এদিন পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৭৪২ জনের সমর্থন পেয়েছেন নাভালনি। যেখানে একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ৫০০ জনের সমর্থন পেলেই প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হন।
রোববার একইভাবে ২০ টি রুশ নগরীর প্রত্যেকটি থেকে তার ৫শ’ জনের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। এদিন এক টুইটে নাভালনি সে জনসমর্থনটিও পেয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন। এ সমর্থনের ভিত্তিতে তিনি নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত প্রার্থী বলে ঘোষণা দেন।
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, এখনো নির্বাচন কমিশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম নিবন্ধন করতে হবে নাভালনিকে। তার আশা, জনসমর্থনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের ওপর তাকে মনোনীত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
২০১১-১২ সালে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে নাভালনিকে তিন বার জেল খাটতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আগামী বছরের নির্বাচনে নাভালনিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন পুতিন। তার আগের বছর তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
সাংবিধানিক বাধার কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি পুতিন। সেবার তার ফার্স্ট ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ প্রেসিডেন্ট হন এবং পুতিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
২০১২ সালে আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন।
রোববার সমাবেশে নাভালিন বলেন, “এ দেশে পুতিন ও তার শাসনের পক্ষে আর খুব বেশি মানুষের সমর্থন নেই।”