তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ভুগছেন। তার জীবন সঙ্কটাপন্ন বলে রোববার জানিয়েছেন তার চিকিৎসক আলেজান্দ্রো আগুইনাগা।
১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফুজিমরি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ফুজিমরিকে ২০০৯ সালে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যা ছিল লাতিন আমেরিকার কোনো দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার প্রধানের তার নিজ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডিত হওয়ার প্রথম ঘটনা।
শাসনামলে অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং রক্তক্ষয়ী বামপন্থি বিদ্রোহ অবসানের জন্য ফিুজিমোরি কৃতিত্বের দাবিদার হলেও সমালোচকদের কাছে তিনি দুর্নীতিবাজ একনায়ক।
২০০৭ সালে ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে প্রথমে ফুজিমরিকে দোষীসাব্যস্ত করে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুই বছর পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে আরও ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলায় ক্ষমতায় থাকার সময় বিদ্রোহী তৎপরতা মোকাবেলায় ডেথ স্কোয়াডে ২৫ জনকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ায় অভিযোগে ফুজিমরিকে দোষীসাব্যস্ত হন। ওই সময় কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন ফুজিমরি। দুই দশকব্যাপী ওই সংঘর্ষে প্রায় ৭০ হাজার লোক নিহত হয়।
গত কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্যজনিত নানা জটিলতার কারণে কয়েকবারই ফুজিমরিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।