ঝড়, বন্যা, ভূমিধসে ফিলিপিন্সে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮০

ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়ের পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ১৮০ ছাড়িয়ে গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2017, 03:54 AM
Updated : 24 Dec 2017, 03:56 AM

প্রতিঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে শনিবার ক্রান্তীয় ঝড় টেম্বিন দক্ষিণের মিন্দানাও দ্বীপ অতিক্রম করে পালাওয়ান দ্বীপে পৌঁছায়; ঝড়টি পরে আরও পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে। 

ঝড়ের আগে লানাও দেল নোর্তে ও লানাও দেল সুর প্রদেশে জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার মিন্দানাওয়ের একাংশে টেম্বিন আঘাত হানে। এরপরই অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়।

ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় টুবোড ও পিয়াগাপো শহরের, এসব এলাকার বেশিরভাগ বাড়িই পাথরের নিচে চাপা পড়েছে।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি ওয়েবসাইটে লানাও দেল নোর্তে প্রদেশে ১২৭ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে; জামবোয়াঙ্গা উপত্যাকায় প্রায় ৫০ জন এবং লানাও দেল সুরে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

টু্বোড পুলিশের কর্মকর্তা গেরি পারামি অন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে তার শহরে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন; শহরটি লানাও দেল নোর্তের মধ্যেই অবস্থিত।

ঝড়ের পর হওয়া আকস্মিক বন্যায় দুর্গম দালামা গ্রাম ভেসে গেছে বলেও জানান তিনি।

“নদী ফুঁসে ওঠে বেশিরভাগ বাড়িই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে; সেখানে আর গ্রামটির অস্তিত্ব নেই,” বলেন তিনি।

কাদা সরিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

টুবোডের ১০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত পিয়াগাপো শহরেও অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অন্য এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

“আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠিয়েছি, যদিও তাদের অগ্রগতি সামান্য,” বলেন তিনি।

সিবিুকো ও সালুগো শহরেও নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

অনেকেই নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঝড়ের পর জীবিতদের খুঁজে বের করা, আবর্জনা পরিষ্কার করা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি বিভাগের কর্মী, সৈন্য, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বৈদ্যুতিক ও টেলিযোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রতি বছর ফিলিপাইনে প্রায় ২০টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ধ্বংস ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দরিদ্র লোকজনই এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার বেশি হন।

গত সপ্তাহে দেশটির মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা অপর এক ঘূর্ণিঝড়ে ৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন।