ঘটনার পর চীনে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালান ডোনাল্ড লন্ডনে একটি গোপন তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন, তাতেই এই তথ্য উঠে আসে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ডোনাল্ডের সেই বার্তাটি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের জাতীয় আর্কাইভ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কয়েকশ থেকে সহস্রাধিক বলা হয়েছিল।
১৯৮৯ সালের ৪ জুনের ওই অভিযানে ২০০ বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ডজন সদস্য নিহত হয় বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়।
ফলে তথ্যটি ‘নির্ভরযোগ্য’ বলেই ওই বছরের ৫ জুন লন্ডনে পাঠানো বার্তায় দাবি করেছিলেন তিনি।
চীনের স্টেট কাউন্সিলই মূলত দেশটির শাসনকাজ পরিচালনা করে, যার নেতৃত্বে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই দিনের মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনায় ডোনাল্ড তার বার্তায় লেখেন, “স্কয়ারে (তিয়ানানমেন) সমবেত হওয়া ছাত্রদের সরে যেতে এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হলেও মূলত পাঁচ মিনিট পরই আক্রমণে যায় এপিসি।
“ছাত্ররা হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে গেলেও সেনারা তাদের উপর গুলি চালায়। এরপর মাটিতে পড়ে থাকা মৃতদেহগুলোর উপর দিয়ে দফায় দফায় ট্যাঙ্ক চালিয়ে পিষ্ট করা হয় এবং দেহাবশেষগুলো বুলডোজার দিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়। পরে হোস পাইপ দিয়ে স্কয়ার পরিষ্কার করে ফেলা হয়।”
বার্তায় আরও বলা হয়, “ওই সময় আহত চারজন ছাত্রী প্রাণভিক্ষা চাইলেও তাদের উপর বেয়োনেট চালানো হয়।”
কমিউনিস্ট চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ হিসেবে পরিচিত ওই আন্দোলনের স্থায়িত্ব ছিল সাত সপ্তাহ। চীনে এখনও ওই ঘটনা নিয়ে সব ধরনের আলোচনা নিষিদ্ধ।