ট্রাম্পের মুখে জয়ের হাসি, কর বিল পাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ কর বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর প্রথম বড় ধরনের জয়ের হাসি হাসলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2017, 02:50 PM
Updated : 22 Dec 2017, 11:21 AM

ডেমোক্র্যাটদের প্রবল বিরোধিতার পরও মঙ্গলবার মার্কিন সিনেট কর সংস্কার বিল পাসের পর বুধবার প্রতিনিধি পরিষদও এ বিল পাস করেছে। প্রক্রিয়াগত নিয়ম ভঙ্গের কারণে প্রতিনিধি পরিষদ দুদিনের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বিলটি পাস করল।

গত ৩০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের করে এতবড় সংস্কার হয়নি। প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদনের পর বিলটি এখন ট্রাম্পের সইয়ের অপেক্ষায়। ট্রাম্প এতে সই করলেই যুক্তরাষ্ট্রের কর ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

নতুন আইনে উচ্চবিত্ত, শিল্পপতিদের এবং কর্পোরেট সংস্থাদের বিপুল ছাড় দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। সে তুলনায় মধ্যবিত্তরা সুবিধা কম পাবেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

কিন্তু রিপাবলিকানরা বলছে, ধনী আর কর্পোরেট সংস্থাদের ছাড় দিলে বিনিয়োগের পথ খুলবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। একারণেই নতুন কর ব্যবস্থায় তাদের কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশ করা হয়েছে।

ট্রাম্প তার কর বিলকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য একটি ‘চমৎকার এবং বড় ধরনের বড়দিনের উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কর পরিকল্পনায় মধ্যবিত্তরা খুব বেশি লাভবান হবেন না। তারা আয়করে ছাড় পাবেন কম।

মধ্যবিত্ত স্বার্থের কথা বলেই এ বিলে এতদিন ঘোর আপত্তি জানিয়ে এসেছে ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু রিপাবলিকানরা বলছে, নতুন কর আইনের আওতায় দেশের প্রতিটি করদাতারই গড়ে ২ শতাংশ কর মওকুফ হবে। ফলে এটি পুরোপুরি মধ্যবিত্ত স্বার্থ-বিরোধী না।

বলা হচ্ছে, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার বছরে দু’হাজার ডলার কম আয়কর দিতে পারবে। কিন্তু আয়কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার তাদের গড় আয়ের ক্ষেত্রে নতুন কর ব্যবস্থায় বছরে ৯শ’ ডলারের বেশি ছাড় পাবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কর ব্যবস্থায় ধনীরাই সবচেয়ে বেশি সুবধা পাবেন। আর করদাতাদের একটা বড় অংশ তাৎক্ষণিকভাবে কম কর দেওয়ার সুবিধা পেলেও দীর্ঘমেয়াদে আর সে সুবিধা থাকবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের এ কর ব্যবস্থা বড় ধরনের ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ মার্কিনি এ কর পরিকল্পনার বিপক্ষে মত দিয়েছে। আর পক্ষে মত দিয়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ মার্কিনি।