প্রায় ২৫ বছর ধরে হিমায়িত ভ্রুণ থেকে শিশুর জন্ম

প্রায় ২৫ বছর ধরে হিমায়িত করে রাখা একটি ভ্রুণ থেকে একটি শিশুর জন্ম হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2017, 05:01 AM
Updated : 21 Dec 2017, 05:01 AM

আইভিএফ শুরু হওয়ার পর থেকে গর্ভধারণ ও শিশুজন্মের মধ্যবর্তী এই বিরতিটিই সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা, জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিবার ওই ভ্রুণটি দান করেছিল। দীর্ঘ বিরতির পর ভ্রুণটিকে গর্ভে ধারণ করে শিশু হিসেবে জন্ম দিয়েছেন যে নারী, ভ্রুণটি নিষিক্ত হওয়ার সমকালে তিনি নিজেও শিশু ছিলেন।

স্বাস্থ্যবান এই মেয়ে শিশুটির নাম রাখা হয়েছে এমা রেন গিবসন। মার্চে হিমায়িত অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে ভ্রুণটিকে টিনা গিবসনের জরায়ুতে স্থাপন করা হয়েছিল।

নভেম্বরে জন্ম নেওয়া এমা টিনার প্রথম সন্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা টিনা, যার বর্তমান বয়স ২৬ সিএনএনকে বলেছিলেন, “বুঝতে পারছেন আমার বয়স মাত্র ২৫? এই ভ্রুণটি আর আমি সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুও হতে পারতাম।”

তিনি আরও বলেন, “আমি শুধুমাত্র একটি সন্তান চেয়েছিলাম। এটা কোনো বিশ্ব রেকর্ড না কী, তার পরোয়া করি না আমি।” 

ধর্মভিত্তিক সংস্থা ন্যাশনাল এমব্রিও ডোনেশন সেন্টার নিষিক্ত ওই ভ্রুণটি দিয়েছে। যে দম্পতিরা অতিরিক্ত আর কোনো সন্তান চান না তাদের অপ্রত্যাশিত ভ্রুণ তাদের এখানে দান করার জন্য সংস্থাটি উৎসাহিত করে থাকে। এই ভ্রুণগুলো নিয়ে অন্য দম্পতিদের বাবা-মা হওয়ার সুযোগ দেওয়াই সংস্থাটির উদ্দেশ্য।

টিনার স্বামী বেঞ্জামিন গিবসনের সিস্টিক ফিব্রোসিস নামক জিনগত ত্রুটি থাকায় উর্বরতার সমস্যা আছে। এই কারণে তারা ওই সংস্থাটির কাছ থেকে ভ্রুণ নেন।

শিশু এমা ১৯৯২ সালে গর্ভে এসেছিল। এর দেড় বছর আগে তার বর্তমান মা টিনার জন্ম হয়।

শিশুটির জন্মের পর গিবসন বলেছেন, “এমা একটি মধুর বিস্ময়। আমর ধারণা অত বছর ধরে হিমায়িত থেকে সে খুব সুন্দর হয়ে উঠেছে।”

নতুন এই কন্যা শিশুটির সঙ্গে তার বাবা-মা কারো জিনগত কোনো সম্পর্ক নেই।