স্বয়ংক্রিয় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘পজিটিভ ট্রেন কন্ট্রোল’ (পিটিসি) নামে পরিচিত। এ প্রযুক্তিতে কোনও ট্রেনের গতি সীমা ছাড়িয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া বা থামিয়ে দেওয়া যায়।
‘ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (এনটিএসবি) সদস্য বেলা ডিন-জার সাংবাদিকদের বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় এ ব্যবস্থা চালু ছিল না।
ট্রেনে এবং রেললাইনে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসানোর প্রক্রিয়া চললেও সেটি এখনও কার্যকর হয়নি। তাছাড়া, ট্রেনের জরুরি ব্রেকও কোনও প্রকৌশলীকে দিয়ে বসানো হয়নি। প্রশিক্ষণ চলছে এমন একজন কন্ডাক্টর ট্রেনটির চালকের সঙ্গে ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সোমবার ডুপন্টের কাছের ফ্লাইওভারে অ্যামট্রাক ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে বেশকিছু মানুষ হতাহত হয়। ট্রেনটি নতুন রুটে যাত্রা করেছিল এবং নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুত চলছিল।
ঘণ্টায় ৩০ মাইল বেগে যাওয়ার কথা থাকলেও ঘণ্টায় ৮০ মাইল বেগে চলা ট্রেনটি বাঁক নেওয়ার সময় লাইনচ্যুত হয় বলে তদন্ত কর্মকর্তারা ধারণা। পিটিসি ব্যবস্থা চালু থাকলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত বলে মনে করছেন তারা।
স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কেন কার্যকর হয়নি এ প্রশ্নের জবাবে এনটিএসবি’ সদস্য জার বলেন, এনটিএসবি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রেলপথগুলোতে পিটিসি বসানোর প্রস্তাব দিয়ে আসলেও এ ব্যবস্থা চালুর সময়সীমা ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে কংগ্রেস।
দুর্ঘটনাটি যে জায়গায় ঘটেছে সেখানে পিটিসি ব্যবস্থা আগেভাগেই কার্যকর করার কথা থাকলেও তা হয়নি বলে জানান ওই এলাকার ট্রানজিট এজেন্সির মুখপাত্র।
তদন্ত কর্মকর্তারা এখন দুর্ঘটনায় পড়া ট্রেনের আহত ক্রুদের জিজ্ঞাসাবাদের অপেক্ষায় আছেন। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনচালক ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ হয়ে পড়েছিলেন কিনা তাও তারা খতিয়ে দেখবেন।
১২ বগির ট্রেনটি সোমবার সকালে সিয়াটল থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণে পোর্টল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল; সংক্ষিপ্ত এ রুটে এটিই ছিল যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম যাত্রা। এর আগে এই পথে শুধু মালবাহী ট্রেন চলাচল করত।