ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের মঙ্গলবার দেওয়া এক আদেশ উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, উবার অন্য ট্যাক্সি সার্ভিসগুলোর মতোই এবং অন্য ট্যাক্সি সার্ভিসগুলোকে যেসব নিয়ম-কানুন মানতে হয়, উবারকেও তা মানতে হবে।
স্মার্টফোনে উবারের অ্যাপ থাকলে যে কেউ এই পরিবহন সেবা পেতে পারে, এক্ষেত্রে যাত্রী কিংবা চালক যে কেউ এতে যুক্ত হয়ে সেবা নিতে ও দিতে পারে। উবার এখানে সেবাদাতা ও গ্রহীতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে অর্থ তুলে নেয়।
২০১১ সালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারের মাধ্যমে পরিবহন সেবা দেওয়া শুরুর পর দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা উবার ট্যাক্সি সার্ভিসগুলোর ব্যবসার জন্য হুমকি হয়ে ওঠেছে।
স্পেনের বার্সেলোনায় উবার অন্য টাক্সি সার্ভিসের মতো নিয়ম-কানুন মেনে না চলায় বিষয়টি আদালতে গড়ায়। নিজেদের অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরে শিথিল আইন-কানুনের মধ্যে থাকতে চাইছিল উবার।
তখন বার্সেলোনার পেশাদার ট্যাক্সিচালকদের সংগঠন আদালতে মামলা করে। তারা বলে, উবারের কার্যক্রমের ট্যাক্সিচালকরা অন্যায্য প্রতিযোগিতায় পড়েছেন।
আদালতে উবারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়, তারা কোনো ট্যাক্সি সার্ভিস নয়, তারা মানুষের উপকারের জন্য অনলাইনে যোগাযোগ স্থাপন করিয়ে দিয়ে এক ধরনের সামাজিক সেবা দিচ্ছে।
তবে আদালতের কাছে উবারের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য হয়নি। আদেশে বলা হয়েছে, যেভাবেই হোক না কেন, মোটের উপর এটা পরিবহন খাতের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানই।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বর্ধনশীল উবারের অনলাইন ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে উবারের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, “এতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশেই আমরা আইন-কানুন স্বচ্ছতার সঙ্গে মেনে চলেই কাজ করছি।”
অন্যদিকে আদালতের আদেশে উৎফুল্ল বিশ্বের পরিবহন খাতের সংগঠন আইআরইউ বলেছে, এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার সমতা ফিরে এল।
বিশ্বের ৬০০টি শহরে এখন উবার কাজ করছে; এর মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও রয়েছে।
বাংলাদেশে উবার নিয়ে সরকারি কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। তবে তাদের একটি নীতিমালায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে দেশের পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ।