পোষা কুকুরের হামলায় মার্কিন নারী নিহত

নিজের পোষা দুই কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গ্রামাঞ্চলীয় এক নারী ওই কুকুরদের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2017, 09:15 AM
Updated : 20 Dec 2017, 09:53 AM

বিবিসি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিজের পোষা দুই পিট বুল জাতের কুকুর টোনকা ও প্যাকম্যানকে নিয়ে বনে হাঁটতে যান ২২ বছর বয়সী বেথনি স্টিফেন্স।

কিন্তু একদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও ফিরে না আসায় পরদিন শুক্রবার বেথনির বাবা কন্যাকে খুঁজতে ওই বন এলাকায় যান। পরে ভার্জিনিয়ার গুচল্যান্ডের প্রধান সড়ক থেকে প্রায় আধমাইল দূরে কন্যার মৃতদেহ খুঁজে পান বাবা।

তিনি দেখতে পান, কুকুর দুটি কিছু একটাকে পাহারা দিচ্ছে, যাকে কোনো একটি প্রাণীর মৃতদেহ বলে ভেবেছিলেন তিনি, কিন্তু সেটি ছিল তার কন্যার লাশ।

কিন্তু বেথনির মৃত্যু নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছড়ানোর পর, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, গুচল্যান্ড কাউন্টির শেরিফ জিম এজনিউ জানান, ভুল তথ্যগুলো ব্যাপক আকার ধারণ করে তদন্তের প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে, বেথনির পরিবারের কথা বিবেচনা করে তার মৃত্যুর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করা হলেও এখন তা প্রকাশ করা দরকার হয়ে পড়েছে। 

সোমবার বিকেলে পুলিশ দ্বিতীয় আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে বেথনির মৃত্যুর বিস্তারিত তুলে ধরে ‘হত্যাকাণ্ডের’ গুজব নিরসন করে এবং কোনো হত্যাকারী ঘুরে বেড়াচ্ছে না সে বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করে।

পুলিশ জানিয়েছে, বেথনির মৃতদেহ পাওয়ার কিছুক্ষণ পর সেখানে পুলিশ কর্মকর্তারা যান এবং দেখতে পান কুকুর দুটি মৃতদেহটিকে পাহারা দিচ্ছে।

কুকুর দুটিকে কীভাবে আটকানো যায় এই নিয়ে আলাপ করার এক পর্যায়ে তারা ঘুরে দেখেন কুকুর দুটি মৃতদেহটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এজনিউ বলেন, “আমি ও আমার চার ডেপুটি দেখতে পাই, কুকুরগুলো মৃতদেহটির পাঁজরের অংশটি খাচ্ছে।

“এতে মনে হয়েছে, তাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন, তারপর কুকুর দুটি তাকে মেরে ফেলেছিল। প্রথম ক্ষতগুলো তার গলায় ও মুখে হয়েছিল।” 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বেথনি মারাত্মক আহত হয়েছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার।”

মৃতদেহটির পাশে বেথনির পরনের পোশাকগুলো ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, তার শরীরটি এমন বাজেভাবে থেতলে গিয়েছিল এবং ক্ষতগুলো এত গভীর ছিল যে এগুলোর সঙ্গে কোনো কিছুর কামড়ের দাগই তুলনা করা যাচ্ছিল না।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেথনির মাথার কামড়ের দাগগুলোর সঙ্গে কুকুর দুটির কামড়ের দাগ মিলে গেছে, অন্য কোনো প্রাণীর কামড়ের দাগের সঙ্গে এগুলোর কোনো মিল নেই।

এক টুইটে এজনিউ বলেছেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, ভালুক বা নেকড়ের মতো কোনো বড় প্রাণী এ কাজ করেনি, কারণ বেথনির মাথায় যে আঘাতগুলো লেগেছে তা কামড়ের দাগ, সেখানে সূক্ষ্ম কোনো ক্ষত নেই।