বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এ ঘটনায় ওই এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন বলে রোববার জানিয়েছে তারা।
ঝড়ে বিলিরান দ্বীপের অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দ্বীপটির বিভিন্ন বন্দরে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন এবং প্রায় ৮৮ হাজার বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা দপ্তর জানিয়েছে, ভূমিধসে ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল (এনডিআরআরএমসি) হতাহতের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
বিলিরানের গভর্নর গেরার্ডো এস্পিনা জুনিয়র জানিয়েছেন, ভূমিধসে নিহতরা ডিজেডএমএম রেডিওতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন। আরো ২৩ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছেন তিনি।
এনডিআরআরএমসি-র মুখপাত্র রোমিনা মারাসিগান বলেছেন, “স্বরাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার বিভাগ তিনজনের মৃত্যুর কথা আমাদের জানিয়েছে। অন্যান্যদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।”
ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পর প্রদেশটির অনেক এলাকা ডুবে গেছে, ফসল ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার ফিলিপিন্সের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা ভিসায়াসে আঘাত হেনে কাই-তাক ওই এলাকার দ্বীপ ও উপকূলীয় শহরগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এসব শহরের মধ্যে তাকলোবান শহরও ছিল। ২০১৩ সালে মহাঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের তাণ্ডবে তাকলোবানের আট হাজার বাসিন্দা নিহত হয়েছিল।
কাই-তাক এরপর দুর্বল হয়ে একটি ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়।