শনিবার রাতে সিডনির বাসা থেকে চেন হ্যান চোই নামে উত্তর কোরীয় বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অবৈধ পণ্য রপ্তানিতে দালালি এবং মারণাস্ত্র সরবরাহের আলোচনাসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চেন জাতিসংঘ ও অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন বলে দাবি পুলিশের।
অস্ট্রেলিয়ায় এটিই উত্তর কোরিয়ার চর সন্দেহে প্রথম কোনো গ্রেপ্তার; ১৯৯৫ সালে জারি হওয়া ‘উইপনস অব ম্যাস ডিস্ট্রাকশন’ আইনেও এটিই প্রথম অভিযোগ।
পুলিশ বলছে, চেনের সঙ্গে ‘উত্তর কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যোগাযোগের’ প্রমাণ আছে।
পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র কর্মসূচির বিশেষ কাজে চেন জড়িত বলে অভিযোগ পুলিশের, এর মধ্যে আছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিক্রি করে উত্তর কোরীয় শাসনব্যবস্থার জন্য টাকা জোগাড় করা।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা চেনের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার কয়লা ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে।
রোববারের সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) চেনকে উত্তর কোরিয়ার ‘অনুগত চর’ অ্যাখ্যা দেয়; তবে তার কাজ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের জন্য ‘সরাসরি কোনো হুমকি’ তৈরি করছিল না বলেও নিশ্চিত করেছে তারা।
“আমরা স্পষ্ট করে বলছি, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনোই কোনো অস্ত্র কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রের যন্ত্রাংশ আসেনি,” বলেন এএফপির সহকারী কমিশনার নিল গগান।
অস্ট্রেলিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্যের চেষ্টা করে কেউ পার পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে চেনের ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, তার জামিনের আবেদন অগ্রাহ্য হতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণাবিক কর্মসূচির কারণে উত্তর কোরিয়ার ওপর অস্ট্রেলিয়াও নিষেধাজ্ঞা আারোপ করেছে। এ নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কেও বেশ টানাপোড়েন চলছে।
অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার সরকার উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানায়; চিঠিতে ক্যানবেরাকে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
পিয়ংইয়ং এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিষয়ে মার্কিন নীতি অনুসরণ করলে অস্ট্রেলিয়া ‘নিজের ধ্বংস এড়াতে পারবে না’।