শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেস পার্টির সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সোনিয়া গত ১৯ বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
নেহেরু-গান্ধী পরিবারের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি ৪৭ বছর বয়সী রাহুলকে এর আগে একজন ‘অনাগ্রহী রাজনীতিক’ হিসেবে দেখতো পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু চলতি গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনে দলীয় প্রচারণায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি সেই ইমেজ ভেঙে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন বলে ধারণা পর্যবেক্ষদের।
রাহুলে অভিষেক অনুষ্ঠান শুরুর আগে সকাল থেকেই কংগ্রেস দপ্তরে উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ে। ড্রামের শব্দের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা লোকনৃত্য শিল্পীরা পতাকা ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে আসা দলীয় কর্মীদের মিছিলগুলোকে স্বাগত জানাতে থাকেন।
কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া নেহেরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম সদস্য রাহুল। দলীয় সভাপতি নির্বাচনে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সোমবার ৪৭ বছর বয়সী রাহুলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
রাহুল দায়িত্ব নেওয়ার পর কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদ্বীপ সূর্যেওয়ালা বলেছেন, “রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসকে আবারও রাষ্ট্র নির্মাণের নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে।”
নতুন সভাপতি রাহুলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিদায়ী সভাপতির ভাষণে সোনিয়া বলেছেন, “গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়ানো কংগ্রেস নতুন নেত্বত্বে এগিয়ে যাবে বলে আশা করছি।”
শুক্রবার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা বলেছিলেন ৭১ বছর বয়সী সোনিয়া। অসুস্থতার কারণে ইদানিং দলীয় সমাবেশ ও দলের অন্যান্য কর্মসূচীতে কমই উপস্থিত হয়েছেন তিনি।
কিন্তু সূর্যেওয়ালা বলেছেন, “সোনিয়া দলের সভাপতিত্ব থেকে অবসর নিচ্ছেন, রাজনীতি থেকে নয়।”
সোনিয়া কংগ্রেস দলের পার্লামেন্টারি অংশের নেতৃত্বে থেকে যাবেন বলে ধারণা পর্যবেক্ষক মহলের।