মিয়ানমারে এক মাসে নিহত ‘৬,৭০০ রোহিঙ্গা’

মিয়ানমারে অগাস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর একমাসে অন্তত ৬ হাজার ৭'শ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা মিতসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে  (এমএসএফ)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2017, 12:14 PM
Updated : 14 Dec 2017, 12:28 PM

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে এমএসএফ এ তথ্য জানিয়েছে। নিহতের এ সংখ্যা মিয়ানমার সরকারের  উল্লিখিত সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি। মিয়ানমার সরকার সেনা অভিযানে মাত্র ৪শ’ রোহিঙ্গার প্রাণহানির তথ্য দিয়েছে।

এমএসএফ বলছে, হাজার হাজার রোহিঙ্গার প্রাণহানি থেকেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ব্যাপক সহিংসতা চালানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘সন্ত্রাসীদের’ ওপর দমনপীড়ন চালানোর কথা বলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছে।

এমএসএফ' এর হিসাব মতে, আগাস্ট থেকে ৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

দাতব্য সংস্থাটি তাদের জরিপের তথ্য দিয়ে বলেছে, ২৫ অগাস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিয়ানমারে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৯ হাজার রোহিঙ্গা। এদের অন্তত ৬ হাজার ৭'শ জন সহিংসতার কারণে নিহত হয়েছে, যার মধ্যেপাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ছিল কমপক্ষে ৭৩০ জন।

তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪০০ উল্লেখ করে এদের বেশিরভাগই ‘মুসলিম সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে।

এমএসএফ এর হিসাবমতে,

>> সহিংসতায় ৬৯% রোহিঙ্গাই গুলিতে নিহত হয়েছে।

>> ৯% রোহিঙ্গা জ্বালিয়ে দেওয়া বাড়িঘরে পুড়ে মারা গেছে

>> ৫% রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।

পাঁচ বছরের কম বয়সী যেসব শিশু নিহত হয়েছে তাদের ৫৯ শতাংশকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ শতাংশকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৭ শতাংশ শিশুকে। আর ২ শতাংশ শিশু নিহত হয়েছেস্থলমাইন বিস্ফোরণে।

এমএসএএফ এর মেডিক্যাল ডাইরেক্টর সিডনি ওং বলেছেন,  নিহতের এ পরিসংখ্যানে পুরো চিত্র উঠে আসেনি। কারণ, সব রোহিঙ্গার ওপর জরিপ চালানো সম্ভব হয়নি। তাছাড়া, সব রেহিঙ্গা পরিবারও মিয়ানমার থেকেপালিয়ে আসার সুযোগ পায়নি। ফলে ওই হিসাবও জরিপে উঠে আসেনি।