সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ মহড়ায় দু’দেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করাসহ কৌশলগত আঞ্চলিক ভারসাম্য নিশ্চিত করবে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে।
রাশিয়ার তাস বার্তা সংস্থা জানায়, মহড়ায় চীন ও রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সেনা সদস্যরা যৌথভাবে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা পরিকল্পনার ছক তৈরি করা ছাড়াও আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুগঠিত করা, যৌথ গোলাবারুদ সরবরাহ এবং উভয় দেশের ভূখণ্ডে ক্রুজ ক্ষেপণান্ত্র হামলা ঠেকানোর কৌশল রপ্ত করবে।
বেইজিংয়ে এ ধরনের মহড়া এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্প্রতি দুই দেশের প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান। এরপরই দ্বিপক্ষীয় বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় রাশিয়া ও চীনের সহযোগিতা বাড়ানোসহ দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এ বিমান মহড়ার আয়োজন করা হয়।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীন ও রাশিয়া উভয়ই বিশ্ব বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিরোধী এবং নিজেদের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দু’দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তৃতীয় কোনো দেশকে উস্কানি দেওয়া এ মহড়ার লক্ষ্য নয়। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি ও সহযোগিতা বাড়ানোই এ মহড়ার উদ্দেশ্য।