নেতানিয়াহুর ছুটোছুটি, জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেবে না ইইউ

ইউরোপও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেবে এমন আশা নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ছুটোছুটি শুরু করলেও তাকে স্পষ্টতই না বলে দিয়েছে ইইউ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2017, 05:51 PM
Updated : 11 Dec 2017, 06:16 PM

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছেন জোটটির বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘারিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণায় সমর্থন জানিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোও জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেবে বলে সোমবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গিয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন নেতানিয়াহু।

সেখানে ইইউ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু হয়েছে। গত ২০ বছরের মধ্যে নেতানিয়াহু এই প্রথম সেখানে গেলেন।

আশা নিয়ে নেতানিয়াহুর এ দৌড়াদৌড়ির মধ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউ  বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান মঘারিনি তার অবস্থান জানিয়ে বলেন, তিনি এখনও মনে করেন জেরুজালেম ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন দু’পক্ষেরই রাজধানী হওয়া উচিত।

ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় মিত্র দেশ চেক প্রজাতন্ত্রও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে মত প্রকাশ করে বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত শান্তি প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

ওদিকে, ফ্রান্স বলেছে, কেবলমাত্র ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তির আওতায়ই জেরুজালেমের মর্যাদা নির্ধারিত হতে পারে।

এর আগে ব্রাসেলসে পৌঁছে নেতানিয়াহু নতুন করে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, “েএ সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। কারণ বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেওয়াই শান্তির মূল ভিত্তি।”

“তিন হাজার বছর ধরে জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী। এটি কখনওই অন্য কোনো জাতির রাজধানী হতে পারে না।”

গত বুধবার হোয়াইট হাউজে এক ভাষণে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মত এরকম স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে একতরফা এ সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।