রোববার অসলোতে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করে আইসিএএনের নির্বাহী পরিচালক বিয়াত্রিস ফিন বলেছেন, ‘বদমেজাজির হেয়ালিপনা’ থেকে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
“আমাদের সামনে পথ একটি- হয় পরমাণু অস্ত্র শেষ করে দেওয়া অথবা নিজেরা শেষ হয়ে যাওয়া।”
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা নতুন মাত্রা নিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
এর জবাবে জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে উত্তর কোরিয়াকে ‘পুরাপুরি ধ্বংস’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যার হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার গত সপ্তাহে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রতিদিনই বাড়ছে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের চেয়ে এখন এ ধরনের মরণাস্ত্রের ব্যবহারের ঝুঁকি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্বের ১০১টি দেশের ৪৬৮টি বেসরকারি সংগঠনের আন্তর্জাতিক মোর্চা আইসিএএন পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধের একটি চুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিত রাইস-আন্দারসেনও বক্তব্যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে শঙ্কার কথা বলেন।
“দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতা পরমাণু অস্ত্রধারী যে কোনো দেশের ক্ষমতায় আসতে পারে,” বলেন তিনি।
২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা আইসিএএন-এর চেষ্টা ও চাপে গত জুলাই মাসে জাতিসংঘের ১২২টি সদস্য দেশ পরমাণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তির পক্ষে সমর্থন দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পারমাণবিক অস্ত্রধারী হিসেবে পরিচিত নয়টি দেশ তাতে সাড়া দেয়নি।
পারমাণবিক হামলার ভয়াবহতা নিয়ে নিয়ে মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে চুক্তিতে পৌঁছানোর উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় আইসিএএন-কে এবার নোবেল দেওয়া হয়।