ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ

ইসরায়েলে সরকারি দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তেল আবিবের রাস্তায় হাজার হাজার নাগরিক বিক্ষোভ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2017, 07:35 AM
Updated : 10 Dec 2017, 07:37 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শনিবারের এই বিক্ষোভে প্রায় ১০ হাজার আন্দোলনকারী উপস্থিত ছিল বলে ধারণা পুলিশের।

সরকারি দুর্নীতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সপ্তাহিক বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় এদিন আন্দোলনকারীরা তেল আবিবের রাস্তায় জড়ো হয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে। গত সপ্তাহের শনিবারের বিক্ষোভে ২০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল। 

চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতানিয়াহু দুর্নীতির দুটি ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একটিতে তিনি এক ধনী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার নিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয়টিতে এক সংবাদপত্র মালিকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিককে ডুবিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বেশি কভারেজ পাওয়ার চুক্তিতে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।

নেতানিয়াহু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

রয়টার্স বলছে, তদন্তে অভিযুক্ত হলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর পদত্যাগ কিংবা আগাম নির্বাচনের চাপ বাড়বে। 

নেতানিয়াহুর দল ডানপন্থি লিকুদ পার্টি বিক্ষোভের জন্য বামধারার দলগুলোকে দায়ী করেছে। ফেইসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জোর সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবেলায় যেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন, বিরোধীরা সেখানে ইসরায়েলকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

“জেরুজালেমের পেছনে সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ না করে, বিশ্বকে একতাবদ্ধ শক্তি না দেখিয়ে বামরা বিভক্তি সৃষ্টি করাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে,” বিবৃতিতে বলে লিকুদ পার্টি। 

ক্ষমতাসীনদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া আন্দোলনকারীরা। তাদের ভাষ্য, ডান-বাম সব ধারার দলই বিক্ষোভে সমর্থন দিচ্ছে।

বিক্ষোভে ডান-বাম নিয়ে ও দুর্নীতি বিরোধী বেশ কয়েকটি ব্যানারও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল- ‘বাম নয়, ডান নয়, একতা’, ‘দুর্নীতিতে আমরা বিরক্ত’ ও ‘দুর্নীতি নির্মূল কর’।