চলতি বছরের নভেম্বরেই এ ধরণের ২৮টি ঘটনার কথা জানা গেছে; গত বছরের একই সময়ে এ ধরনের নৌকা ভেসে আসার ঘটনা ছিল মাত্র চারটি।
উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে এসব নৌকার আগমণ জাপানে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা অনুপ্রবেশের জন্য এসব নৌকা ব্যবহৃত হচ্ছে কি না তাই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।
তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মত ছিল, উত্তর কোরীয় জেলেরা মাছ ধরার উদ্দেশ্যেই কাঠের তৈরি এসব নৌকা নিয়ে সাগরে নেমেছিল, তবে তাদের মধ্যে হয়তো ছদ্মবেশী সৈন্যও ছিল। এসব নৌকা পক্ষত্যাগকারী উত্তর কোরীয়দের নয়।
এই পরিস্থিতিতেই শনিবার জাপানের পুলিশ উত্তর কোরিয়ার একটি নৌকার তিন খালাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা জাপানি মালিকানাধীন জনবসতিহীন একটি দ্বীপ থেকে একটি জেনারেটর চুরি করেছেন বলে জানিয়েছে এনএইচকে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এনএইচকে জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে হোক্কাইডো দ্বীপের উপকূলে ১০ খালাসীসহ একটি নৌকা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন জনবসতিহীন ওই দ্বীপের একটি কুঁড়েঘর থেকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করে।
এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বাকিদের অভিবাসন ব্যুরোর কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে হোক্কাইডো পুলিশের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স; জাপান কোস্টগার্ডের মুখপাত্রও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জাপানের জলসীমায় উত্তর কোরিয়ার জেলেনৌকার অনুপ্রবেশ নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভেসে আসা উত্তর কোরীয় নৌকার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।
জাপানকে ধ্বংস করার হুমকি দেওয়া উত্তর কোরিয়া এ পর্যন্ত দেশটির ওপর দিয়ে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ভেসে আসা খালাসীরা দেশত্যাগী কিংবা জাপানেই থেকে যেতে চায়, এমন কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি বলে এনএইচকে জানিয়েছে।