অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েলি-গাজা সীমান্তে এ সংঘর্ষ হয়েছে। গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৩০ বছর বয়সী ওই ফিলিস্তিন নিহত হয়। আহত হয়েছে ৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস একথা জানিয়েছে।
পশ্চিম তীরে বেথলেহেম, রামাল্লাহ, হেবরন এবং নাবলুসসহ ছোট ছোট আরও কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিদের সংঘর্ষ হয়েছে।
টিভিতে প্রচারিত দৃশ্যে বেথলেহেমে পাথর ছুড়ে মারা ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদেরকে জলকামান ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
সেনাদের টিয়ারগ্যাস আর বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিদের টায়ার পোড়ানোয় ঘন কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারিদিক। ইসরায়েলি সেনারা বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেটও ছুড়েছে।
অন্যান্য যেসব স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে সেসব জায়গাতেও দেখা গেছে একই দৃশ্য।
ফিলিস্তিনি নেতারা শুক্রবার ইন্তিফাদার ডাক দেওয়ার সহিংসতার আশঙ্কায় ইসরায়েল পশ্চিম তীরে আগে থেকেই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছিল।
পূর্ব জেরুজালেমে ওল্ড সিটির বাইরে পুলিশ শত শত বিক্ষোভকারীকে হটিয়ে দিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে সংঘর্ষে অন্তত ২১৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসাকর্মীরা।
জেরুজালেম নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত ঘোষণায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তার নীতির পরিবর্তনকে ইসরায়েল স্বাগত জানালেও আরব এবং মুসলিম বিশ্ব নিন্দা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোও কয়েকদশকের নীতি বদলে দেওয়ার এ পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্বের অন্যান্য জায়গাতেও বিক্ষোভ হচ্ছে। জর্ডান, মিশর, ইরাক, তুরস্ক, তিউনিশিয়া এবং ইরানে ফিলিস্তিনপন্থি হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেছে।
মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার মত মুসলিমপ্রধান বিভিন্ন দেশেও বিক্ষোভমিছিল হচ্ছে।