আইএসের সাইবার ‘খিলাফত’: সতর্ক করলেন মার্কিন কর্মকর্তারা

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্বঘোষিত খিলাফতের অবসান হলেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠীটির পশ্চিমা লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালানোর সামর্থ্য কমেনি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2017, 09:29 AM
Updated : 7 Dec 2017, 09:29 AM

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের একথা জানান দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্রের গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোরা শিয়াও জানান, সুন্নি মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠীটি গত দুই বছর ধরে বিদেশে অভিযান পরিচালনার সামর্থ্য গড়ে তুলেছে এবং জানুয়ারি থেকে পশ্চিমা লক্ষ্যস্থলগুলোতে চালানো অন্তত ২০টি হামলার দায় অথবা হামলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার দাবি জানিয়েছে।

“দুর্ভাগ্যবশত আইএসআইএসের (আইএস) নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড হারানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা হামলা চালানোর ক্ষেত্রে এর উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে দেখিনি,” যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটিকে বলেন শিয়াও।

“বলিষ্ঠ সামাজিক গণমাধ্যম সক্ষমতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহানুভূতিশীলদের কাছে পৌঁছানোয় আইএসআইএসের সামর্থ্য নজিরবিহীন এবং এটি গোষ্ঠীটিকে বিপুল সংখ্যক এইচভিইদের (হোমগ্রোন ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিস্ট) কাছে পৌঁছে দেয়,” বলেন তিনি।

ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, বর্তমানে দেশ দুটিতে কট্টরপন্থি সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রায় তিন হাজারের মতো যোদ্ধা রয়েছে।

২০১৪ সালে এই দুই দেশের বিশাল এলাকা দখল করে মধ্যবর্তী আন্তর্জাতিক সীমান্ত উঠিয়ে দিয়ে নিজেদের খেলাফত ঘোষণা করেছিল বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো এই গোষ্ঠীটি।

অক্টোবরে তাদের খেলাফতের রাজধানী বলে পরিচিত সিরীয় শহর রাক্কা থেকে আইএসের যোদ্ধাদের হটিয়ে দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “আইএসআইএস খিলাফতের পতন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।”

কিন্তু বাস্তব খেলাফতের পতন ঘটার মানেই আইএস বা অন্যান্য বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সমাপ্তি নয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক মিচেল।

আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর আইএস ক্রমে ভার্চুয়াল যোগাযোগের ওপর নির্ভরশীল হয়ে নিরস্ত্র মানুষজনের ওপর হামলা চালানোর জন্য ‘নিঃসঙ্গ জঙ্গিদের’ অনুপ্রাণিত করতে থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং সরকারি সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান রন জনসন বলেছেন, “এটিই নতুন খেলাফত, যা থাকবে সাইবার জগতে।”